পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাল শুরুর পরেও দিনের শেষভাগে তাইজুল-খালেদের বলে বাংলাদেশের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। এলগার, পিটারসেন ও বাভুমার ফিফটির পরেও তাইজুল-খালেদের বোলিং নৈপুণ্যে প্রথম দিনশেষে লড়াইটা সমান সমান। প্রথম দিনশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৮ রান।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই খালেদ আহমেদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার সারেল আরউই। তবে বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেওয়ার সময় পার হবার পর দেখা যায় স্পষ্ট আউট ছিলেন আরউই। তবে সুযোগ পেয়েও লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি এই প্রোটিয়া ওপেনার। দলীয় ৫২ রানে সেই খালেদ আহমেদের বলেই উইকেটের পেছনে লিটন দাসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরেন আরউই। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে কিগান পিটারসেনকে নিয়ে এগোতে থাকেন অধিনায়ক ডিন এলগার।
দু’জনে মিলে ৮১ রানের জুটি গড়ার পথে অসাধারণ এক ফিফটি তুলে নেন এলগার। এরপর দলীয় ১৩৩ রানে তাইজুল ইসলামের বলে আউট হয়ে ফিরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৮৯ বলে ১০ চারে খেলেন ৭০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ৩৯ ওভার খেলা হতেই পোর্ট এলিজাবেথের আকাশ তখন কালো মেঘে ঢাকা। এরপর বৃষ্টি বাঁধায় কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। বৃষ্টি বন্ধ হলে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় উইকেট জুটিতে টেম্বা বাভুমার সাথে ৫১ রানের জুটি গড়েন পিটারসেন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন তিনি। এরপর দলীয় ১৮৪ রানে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে তাইজুলকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে বল প্যাডে লাগে পিটারসেনের। এ যাত্রায়ও বাংলাদেশী ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেননি অন ফিল্ড আম্পায়ার। তবে এবার ভুল করেননি অধিনায়ক মুমিনুল হক। অসাধারণ এক রিভিউতে আউট হন পিটারসেন! ৯ চারে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে ফিরেন এই তরুণ প্রোটিয়া তারকা।
চতুর্থ উইকেটে বাভুমার সাথে ৮৩ রানের জুটি বাঁধেন রায়ান রিকেলটন। এরপর দলীয় ২৬৭ রানে তাইজুলের তৃতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৪২ রানে ফিরেন রিকেলটন। এরপর দ্রুতই ফিরেন বাভুমাও! ব্যক্তিগত ৬৭ রানে খালেদের বলে স্লিপে নাজমুল শান্তর দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন বাভুমা। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে কাইল ভেরেইনে ও উইয়ান মালডারের ব্যাটে দিনশেষ করে প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত প্রথম দিনশেষে ৯০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৭৮ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রথম ইনিংস) – ২৭৮/৫ (৯০ ওভার); এলগার ৬৭(১৬২), পিটারসেন ৬৪(১২৪); তাইজুল ৩০-৬-৭৬-৩, খালেদ ২০-৪-৫৯-২।