ভারতীয় ক্রিকেটে এক্সপ্রেস পেসার তেমন একটা দেখা যায়নি। স্রেফ গতি দিয়ে ব্যাটারদের নাকানিচুবানি খাওয়ানোর মত পেসার তাঁরা খুব একটা পায়নি। তাই তো মায়াঙ্ক যাদবের আগমন খুশির উচ্ছ্বাস নিয়ে এসেছে; এ-ই উচ্ছ্বাস দেখে মনে হবে আকাশের চাঁদ মাটিতে এসে নেমেছে।
অবশ্য কেবল বাড়তি গতিতে নয়, আঁটসাঁট লাইন লেন্থে বল করতেও সমান পারদর্শী এই বোলার। চলতি আইপিএলে লখনৌ সুপার জায়ান্টস প্রথমবারের মত লাইমলাইটে নিয়ে এসেছিল তাঁকে।
পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অভিষেক হয় তাঁর; প্রথম ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট তুলে নেন তিনি, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষেও।
এই তরুণের পারফরম্যান্সে এতটাই অভিভূত হয়েছেন সবাই যে হুট করেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের বিবেচনায় চলে এসেছেন তিনি।
এখনি নিশ্চিত হয়নি কিছুই, তবে বিশ্বকাপের একটি টিকিট তাঁর কাছে গেলে অবাক হওয়ার মত কাউকেই বোধহয় পাওয়া যাবে না। আপাতত অবশ্য জাতীয় দলের নির্বাচকরা আরো কিছু ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন।
ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে তাঁকে যেতে হবে ইয়ো ইয়ো টেস্টের মধ্য দিয়ে। ফিটনেসের এই পরীক্ষায় উতরাতে পারলে হয়তো বিশ্ব মঞ্চে স্বপ্নের আকাশী-নীল জার্সি গায়ে জড়াবেন এই গতি তারকা।
২০২২ সালের আইপিএল নিলামে লখনৌ স্কোয়াডে ভিড়িয়েছিল মায়াঙ্ককে। এর পিছনে অবশ্য বিশাল একটা গল্প রয়েছে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে দিল্লির হয়ে অনুশীলন করার সময় লখনৌর সাবেক কোচ বিজয় দাহিয়ার নজরে আসেন তিনি। এরপর দাহিয়া সোজা যোগাযোগ করেন টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে।
এই কোচ বলেন, ‘আমি গৌতম গম্ভীরকে (লখনৌর সাবেক মেন্টর) কল করেছিলাম, সে জানতো আমার চোখ প্রতিভা চিনতে ভুল করে না। একটা বিষয় অবশ্য মানতে হবে, তখন কিন্তু মায়াঙ্ক পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না। তবে দল কোন তাড়াহুড়ো করেনি। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, লোকেশ রাহুলদের ধন্যবাদ দিতে হয় যে তাঁরা সঠিক সময়ে তাঁকে সুযোগ দিয়েছে।’
মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই এই ডানহাতি পেসার আউট করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জনি বেয়ারস্টো, ক্যামেরন গ্রিনের মত বিদেশী তারকাদের। তাহলে কি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তাঁকে সুযোগ দেয়া উচিত এখন, এমন প্রশ্নে বিজয় দাহিয়ার সোজাসুজি উত্তর – অবশ্যই।