জন্ম ল্যাঙ্কাশায়ারে, পেশাদার ক্রিকেট খেলেন ডারহামের হয়ে। অন্য অনেক ইংলিশ তরুণদের মতই স্বপ্ন দেখতে পারতেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার। কিন্তু স্কটিশ মায়ের কারণে মাইকেল জোন্স বেছে নিয়েছেন স্কটল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলকে।
এমন ঘটনাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু সেই ঘরের ছেলে জোন্সের আক্রমণেই যেন লক্ষ্যচ্যুত হল ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ। জোফরা আর্চারকে চার মেরে শুরু, আর আদিল রশিদকে ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে শেষ। মাঝখানে কোন বোলারকেই সমীহ করার প্রয়োজন মনে করেননি জোন্স।
তবে সব থেকে বড় ঝড়টা গিয়েছে ক্রিস জর্ডানের উপর দিয়ে। ষষ্ঠ ওভারে জর্ডানের টানা তিন বলে হাঁকিয়েছেন ১ ছক্কা এবং ২ চার। শেষ পর্যন্ত ত্রিশ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেই থেমেছেন তিনি।
জোন্সের ইনিংস অবশ্য আরো বড় হতে পারতো। কিন্তু বারবার বৃষ্টি বাঁধায় ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ডের ম্যাচ নেমে আসে দশ ওভারের লড়াইয়ে। শুরু থেকেই আগ্রাসী জোন্সের রান তোলার গতি কমাতে পারেনি একাধিক বৃষ্টি বাঁধাও।
ফলে ধীর গতিতে ইনিংস শুরু করেও চাপে পড়তে হয় নি জর্জ মুন্সিকে। মুন্সি সময় নিয়েছেন, আক্রমণাত্মক হয়েছেন এবং জোন্সের সাথে মিলে গড়েছেন ৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
স্কটল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৯০ রান হলেও, ডিআরএস পদ্ধতির কল্যাণে ইংল্যান্ডের জন্য টার্গেট নির্ধারিত হয়েছে ১০৯ রান। এই কঠিন টার্গেট ছুঁড়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে জোনস এবং মুন্সির আক্রমণাত্মক কিন্তু অবিচ্ছিন্ন জুটির কল্যানেই।
শেষ পর্যন্ত যদিও জোন্সের চেষ্টা বৃথা গিয়েছে বৃষ্টি বাঁধায় ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে, কিন্তু এই ম্যাচে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে উজ্জ্বল হয়ে রইবে মাইকেল জোন্সের ব্যাটিং নৈপুণ্য।