চাইলেই সহসাই সাকিব আল হাসান হতে পারবেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। অন্তত, আপাতত তাঁর ব্যাটিং সে কথা বলছে না। কেন? একটু ভেঙে বলা যাক।
মিরাজ প্রমোশন পেয়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে মিরাজ এখন নিয়মিত খেলছেন চার নম্বরে। প্রথম ম্যাচে ২৮ করেছেন, দ্বিতীয় ম্যাচে ২২। সেটা বিষয় না। সাদা চোখে, প্রথম দুই ম্যাচে এই দুই ইনিংস দিয়ে মিরাজের ‘ব্যর্থতাকে ডিফাইন করা যায় না।
ব্যাপার হল, তাঁর স্ট্রাইক রেট। প্রথম ম্যাচে খেলেছেন ৫১টি বল, দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৩ বল। প্রথম ম্যাচে তিনি ব্যাট করেছেন অবিবেচকের মত। তিনি এতই ধীর গতির ব্যাট করেছেন যে বাকিদের ওপর চাপ বেড়েছে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি যে অবস্থায় ব্যাট করতে নেমেছেন, ততটা ভাল অবস্থা রোজ রোজ পাওয়াও যায় না।
বরং, সৌম্য সরকার দলকে একটা ভাল অবস্থানে রেখেই বিদায় নিয়েছিলেন। সেখানে ৩৩ বলে তাঁর ২২ রানটা খুব দৃষ্টিকটু। স্ট্রাইক রেট ৬৬.৬৭! এখানে সাকিবের মত ব্যাট করতে চাইলে তাঁকে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে খেলতে হবে। সেটা তিনি আর পারছেন কোথায়!
এবার তৃতীয় ম্যাচের প্রসঙ্গে আসা যাক। এখানে মিরাজ ৬৬ রান করেছেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে যোগ করেছেন ১৪৫ রান। তবে, এখানে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। মিরাজ ৬৬ রান করতে খেলেছেন ১১৯ টি বল। মানে, একটা ব্যার্টিং ইনিংসের এক তৃতীয়াংশ বলের বেশি খেলেছেন মিরাজ।
তাও মিরাজ হাফ-সেঞ্চুরির পর একটু এক্সিলারেট করেছিলেন। হাফ-সেঞ্চুরি করতে খেলেছিলেন ১০৬ টি বল। মানে স্ট্রাইক রেট ৪৭.২! এর মধ্যে ডট ছিল ৬৭ টি! একই উইকেটে ‘আনফিট’ মাহমদুউল্লাহ রিয়াদও প্রায় ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন। সেখানে মিরাজের এত ধীর গতির ইনিংস খুব দৃষ্টিকটু।
চার নম্বর পজিশন আধুনিক ক্রিকেটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে এমন একজনকে খেলানো হয়, যিনি টপ অর্ডার আর মিডল অর্ডারের মাঝে একটা সেতুবন্ধন রচনা করেন। সেটা মিরাজ করছেন, তবে সেটা নেতিবাচক উপায়ে। অনেক সময়ই এটা জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
হ্যাঁ, মেহেদী হাসান মিরাজকে সময় দিতে হবে। তিনি নিয়মিত ব্যাটার হয়েছেন, খুব বেশিদিন হয়নি। কিন্তু, সেই সময় দেওয়ার মত সময় কি বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্টের আছে? সময় নষ্টের ক্ষেত্রে অবশ্য বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট বিশ্বসেরাদের কাতারে।