টি-টোয়েন্টির ভাবনায় তিনি ছিলেন না একেবারেই। তারপরও তাঁকে যে হঠাৎ করেই ভারতের বিপক্ষে খেলানো হল, তাঁর কারণ সাকিব আল হাসানের অবসর। সাকিবের জায়গায় খেলার জন্য একজন অলরাউন্ডার দরকার ছিল বাংলাদেশ দলের।
সেই ভাবনা থেকেই টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পান মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ম্যাচ খেলেও ফেলেন। তাতে অবশ্যই সাকিবের বিকল্প বাংলাদেশ দল কোনো ভাবেই খুঁজে পায়নি। অন্তত, ব্যাটিংয়ে তো কোনো ভাবেই না।
দু’জনের ব্যাটিং অর্ডারেই বিরাট ফাঁড়াক। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মিরাজ ব্যাট করতে নেমেছেন সাত নম্বরে। বাংলাদেশের জন্য তখন কঠিন সময়। সেখান থেকে শুরু করে ইনিংসের শেষ অবধি ক্রিজেই ছিলেন মিরাজ।
অপর প্রান্তে একের পর এক উইকেট পতন দেখেছেন। শেষ অবধি অপরাজিত ছিলেন ৩২ বলে ৩৫ রান করে। ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা। ম্যাচের যে পরিস্থিতিতে মিরাজ ব্যাট করতে নেমেছেন, সেখানে তাঁর এর চেয়ে বেশি কিছু করার সুযোগও ছিল না।
তাই, এটা অন্তত বলা যায়, তিনি আর কিছু দিন টি-টোয়েন্টির সেট-আপে টিকে যাচ্ছেন। তবে, তিনি তারপরও প্লেয়িং স্টাইল বা অনেক কিছু বিবেচনা করেই তিনি সাকিবের বিকল্প নয়।
তবে, চাইলে তাঁকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিকল্প মনে করা যেতেই পারে। বিশেষ করে যে পজিশনে তিনি ব্যাট করেছেন, এবং যেভাবে করেছেন – সেটাই তাকে রিয়াদের বিকল্প ভাবার ক্ষেত্রটা তৈরি করছে। বলা যায়, চাইলে তিনি নিজেকে রিয়াদের ‘বেটার ভার্সন’ হিসেবেও গড়ে তুলতে পারেন।
নিজের ব্যাটিংয়ে তিনি ইতিবাচক অনেক পরিবর্তনই করেছেন। এবার তাহলে ফিনিশার হওয়ার চেষ্টা করলে ক্ষতি কি?