একটা মিশ্র সেশন কেটেছে বাংলাদেশের। তৃতীয় দিনের সকাল বেলায়, কাগিসো রাবাদা আবারও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেন। যদিও সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটারদের নির্বুদ্ধিতার বিষয়টি ছিল স্পষ্ট। ইনিংস ব্যবধানে হারের সম্ভাবনার পাশ ঘেষে বাংলাদেশ ফিরেছে রানের ধারায়।
দিনের শুরুতেই মাহমুদুল হাসান জয় খেলেছেন এক অহেতুক শট। অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের বল তিনি চেজ করেছেন। নিশ্চয়ই প্রয়োজন ছিল না তেমন কোন শট খেলার। দ্বিতীয় দিনের শেষভাগে জয় ও মুশফিকুর রহিম দলের হাল ধরেছিলেন। তাদের উপর আস্থা ছিল ইনিংস বড় করবার।
কিন্তু রাবাদার সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ। জয় নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন। এরপর মুশফিক আউট হয়েছেন দুর্দান্ত বলে। ইনসুইং ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে স্ট্যাম্প হারিয়েছেন মুশফিক। প্রথম ইনিংসের মত একই ভাবে আউট হয়েছেন মুশফিক।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই শঙ্কা জেগেছিল ম্যাচ হারের। সেই শঙ্কার কালো মেঘকে আরও ঘনীভূত করেছিলেন কেশভ মহারাজ। লিটন দাসকে আউট করেছিলেন তিনি। ব্যাটের সামান্য খোঁচায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। নিজের উপর প্রচণ্ড রাগ হওয়ার লিটন পরবর্তী ব্যাটও ভেঙেছেন, ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পথে।
ঠিক তখন থেকেই ফলাফলের প্রত্যাশা করতে শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশার উপর পানি ঢেলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। এই দুইজন বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আবারও টাইগারদের রক্ষাকর্তা হয়ে সামনে এসেছেন মিরাজ। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমা বিপদ ডেকে আনছে। ঠিক সে কারণেই পালটা আক্রমণ করে রানের চাকাকে সচল করেছেন মিরাজ।
তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন অভিষিক্ত জাকের। এই দুইজনে মিলে বাংলাদেশকে ইনিংস হারের লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন। এমনকি তাদের ৮৯ রানের জুটিতে ভর দিয়ে লিড নেওয়ার পথেও হেঁটেছে বাংলাদেশ দল। মিরাজ ফিফটি তুলে নিয়ে মধাহ্ন বিরতিতে গিয়েছেন। অন্যদিকে, জাকের ৩০ রানে অপরাজিত থেকেছেন।
মিশ্র অভিজ্ঞতার প্রথম সেশনে মিরপুর টেস্ট বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। যদিও শেষ অবধি রক্ষা হবে কি-না সেটা সময়ই বলে দেবে।