ভ্রম নয়, সত্যিই ভ্রমর কামড়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। তিনি বসে পড়লেন মাটিতে। ফিজিও এসে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে ব্যাথাটা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। মিরাজের মুখের ভঙ্গিতেই স্পষ্ট, ভারতের বোলারদের চেয়ে বেরসিক ভ্রমরটাই তাঁকে বেশি ভুগিয়েছে।
ক্রিকেট মাঠে কত বিচিত্র ঘটনাই তো ঘটে। তবে, কানপুরের গ্রিন পার্ক যেন ছাড়িয়ে যাচ্ছে সব কিছুকেই। বৃষ্টি না থাকার পরও তৃতীয় দিনে কোনো খেলাই মাঠে গড়াল না আউটফিল্ডের দুর্দশাজনিত কারণে। প্রশ্ন উঠল গ্রিনপার্কের টেস্ট সামর্থ্য নিয়ে।
চতুর্থ দিনে ঝলমলে রোদ। যথারীতি যেখানে শেষ হয়েছিল প্রথমদিন, সেখান থেকে আবারও খেলা গড়াল মাঠে। এর মধ্যে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজকে পড়তে হল উটকো এক ঝামেলায়।
ভ্রমর বললে একালের লোকজন নাও চিনতে পারেন। তাঁদের জন্য এই পতঙ্ককে বল্লা, বোলতা কিংবা ভিমরুল বলা যেতে পারে। এটা পিঁপড়া এবং মৌমাছির কাছাকাছি গোত্রের পোকা। উড়তে জানা এই পতঙ্গের হুল থাকে, যেটা অনেক সময় বিষাক্তও হতে পারে।
কৃষিজ পতঙ্গ নিবারণে এরা অনেক কার্য্যকরও বটে। ফলে, মিরাজকে ব্যাটিংয়ের সময় যখন তাঁর হাঁটুতে বোলতা বা ভ্রমর আক্রমণ করে, তখন তাঁকে সহজ চোখে দেখার কোনো কারণ নেই। যদিও, ফিজিওর শুশ্রুষা নিয়ে আবারও তিনি খেলা চালিয়ে যান।
প্রথম দিন খেলা শুরুর আগে এই কানপুরের মাঠেই বানর ঢুকে পড়ে। সেই বানর তাড়ানোর জন্য আবার বানরই আনা হয়। এবার সেখানে বোলতার আক্রমণ। আউটফিল্ড আর ড্রেনেজ সিস্টেমের বিষয়টা তো অন্য হিসাব। এটা মাঠ নাকি জঙ্গল – উত্তর জানে কেবল ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।