শূন্যস্থান পূরণ করবেন মিরাজ

সাকিব আল হাসান হয়তো আর খুব বেশিদিন শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে থাকবেন না। সেই শূন্যস্থানটা পূরণ করার জন্য সবচেয়ে আদর্শ ব্যক্তিটা হতে পারেন এই মিরাজ। আর সেটা হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বাংলাদেশ দলই।

অথচ, ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় মেহেদী হাসান মিরাজকে কেবল বোলার হিসেবেই খেলিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ দল। তিনি যে পুরোদস্তর ব্যাটার সেটা প্রমাণ করার ক্ষেত্র তিনি পেয়েছেন খুবই সামান্যই। তবে, স্বল্প সুযোগেই যখন যেখানে পেরেছেন সেখানে তিনি রান করার চেষ্টা করে গেছেন।

তবে, অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট তিনি বেশ প্রোলিফিক রান স্কোরার ছিলেন। সেটার প্রতিফলন তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেখাতে তিনি একটু সময় নিয়ে ফেলেন। এখানে ম্যানেজমেন্টেরও দায় আছে। নয়-দশ নম্বরে ব্যাট করেছেন লম্বা একটা সময়।

তবে, আট নম্বরে নেমে যেদিন ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে ওয়ানডেতে অবিস্মরণীয় এক জয় এনে দেন – এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। পরের ম্যাচে আবারও একই পজিশনে নেমে করা সেঞ্চুরি তাঁকে তুলে দেয় চূড়ায়।

সেদিনটা থেকে মিরার পুরোপরি ব্যাটার বনে গেলেন। এ যেন একালের সাকিব আল হাসান। ব্যাটিং বা বোলিং – যখন যেখানে দরকার হয় তিনি পারফরম করে যেতে জানেন। এমনকি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি ওপেনও করেছেন, সেঞ্চুরিও করেছেন।

তবে, তাঁর সত্যিকারের ব্যবহারটা আক্ষরিক অর্থে সবচেয়ে বেশি করা সম্ভব টেস্ট ক্রিকেটে। এই যেমন পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ৭৭ রানের এক ইনিংস খেলে ফেললেন। ক্যারিয়ারে এটা তাঁর সপ্তম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে একটি সেঞ্চুরিও করেছেন।

সেঞ্চুরি খুব দূরে ছিল না এবার। এই উইকেটে ২৩ রান খুব বড় কিছু ছিল না। কিন্তু, দলের প্রয়োজনে তোয়াক্কা করেননি মিরাজ। রান বাড়িয়ে নেওয়ার সময় আউট হয়ে ফিরেন। ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় এটা সাকিব আল হাসানের জন্যও অনেকটা নিয়মিত ঘটনাই ছিল।

সাকিব আল হাসান হয়তো আর খুব বেশিদিন শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে থাকবেন না। সেই শূন্যস্থানটা পূরণ করার জন্য সবচেয়ে আদর্শ ব্যক্তিটা হতে পারেন এই মিরাজ। আর সেটা হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বাংলাদেশ দলই।

Share via
Copy link