আগের ম্যাচেই পেয়েছিলেন বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধশতক। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে অধরা শতকের ছোঁয়া পেতেও আর বিলম্ব করলেন না মিশেল মার্শ। পাকিস্তানের বিপক্ষে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। আর এ সেঞ্চুরি দিয়েই অজি এ ব্যাটার গড়লেন অনন্য এক কীর্তি।
মূলত, আজ মিশেল মার্শ জীবনের অধ্যায়ে ৩২ বছর পূর্ণ করলেন। আর নিজের ৩৩তম জন্মদিনেই করলেন সেঞ্চুরি। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে জন্মদিনে বিশ্বকাপের মঞ্চে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন তিনি।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর এই কীর্তি গড়েছিলেন। কাকতালীয়ভাবে, সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। ২০১১ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩১ রানের অনবদ্য খেলেছিলেন কিউই এ ব্যাটার।
অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে এ দিন ব্যাঙ্গালুরুতে এ দিন রেকর্ডের পসরা সাজিয়েছিল মার্শ-ওয়ার্নার উদ্বোধনী জুটি। দুজনে মিলে গড়ে তোলেন ২৫৯ রানের জুটি। যার পাশে যুক্ত হয়েছে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটিতে তোলার সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড।
এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে শেন ওয়াটসন আর ব্র্যাড হাডিনের উদ্বোধনী জুটিতে তোলা ১৮৩ রান এত দিন ছিল সেরা৷ অবশ্য এ দিন ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই ওয়ার্নারের সহজ ক্যাচ ফেলেছিলেন উসামা মীর। আর তার মাশুলই চরম মূল্যে গুণতে হয় পাকিস্তানকে।
শুরুতেই যিনি আউট হতে পারতেন সেই ওয়ার্নার শেষ পর্যন্ত ফিরেচেন ১৬৩ রানে। আর ওয়ার্নারকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে শতক তুলে নেওয়া মার্শ নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন ১২১ রান। যে ইনিংসের পথে ছিল ১০ চার আর ৯ টি ছক্কার মার।
৩১ তম ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে শতকে পৌঁছেছিলেন ওয়ার্নার। আর তার পরের বলেই নওয়াজের বল বাউন্ডারিতে পরিণত করে ১০০ তম বলে শতরান পূরণ করেন মার্শ।
শতক পূরণের আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন মার্শ। তাই সেঞ্চুরি পূরণের পর ২১ রানের ১৮ রানই তুলেছিলেন ছক্কায়। অবশ্য অতি আগ্রাসী মার্শ সেঞ্চুরি পূরণের কিছুক্ষণ বাদেই ফিরে যান। শাহীন আফ্রিদির বলে ধরা দেন তিনি। তবে ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমত রানপাহাড়ের পথে এগিয়ে দেন মার্শ।
বিশ্বকাপের মঞ্চে বাবা জিওফ মার্শের সেঞ্চুরি রয়েছে ২ টি। পিতার পর এবার বৈশ্বিক আসরে সেঞ্চুরি পেলেন পুত্র মিশেল মার্শ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে পিতা-পুত্রের শতক! এটাও তো বিরল ঘটনা। ১৯৮৭ এর পর ২০২৩— বিশ্বকাপে মার্শ ফ্যামিলির জয়োগান যেন চলছেই, ৩ যুগ ধরে।