মঈন আলী, দ্য ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার

চার মৌসুম বাদে আইপিএল ফিরেছে চিপকের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। এবারের মৌসুমের শুরুটা হার দিয়ে হলেও ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে প্রবল বিক্রমেই ফিরলো চেন্নাই সুপার কিংস। আর সেই ফেরার লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মইন আলি। ব্যাট হাতে মাঝারি এক ইনিংস খেলার পর বল হাতে একাই লখনৌর ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। 

চার মৌসুম বাদে আইপিএল ফিরেছে চিপকের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। এবারের মৌসুমের শুরুটা হার দিয়ে হলেও ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে প্রবল বিক্রমেই ফিরলো চেন্নাই সুপার কিংস। আর সেই ফেরার লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। ব্যাট হাতে মাঝারি এক ইনিংস খেলার পর বল হাতে একাই লখনৌর ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। 

চার বছর বাদে ফেরার সুবাদেই কিনা এদিন কানায় কানায় পূর্ণ ছিল চিদাম্বরম স্টেডিয়াম। দর্শকরা পুরোটা সময় মাতিয়ে রেখেছেন গ্যালারি, উৎসাহ দিয়েছেন ক্রিকেটারদের। ম্যাচের আগে মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা বেন স্টোকসরা আলোচনায় থাকলেও অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আলোটা কেড়ে নিয়েছেন মঈন আলী। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কড় এবং ডেভন কনওয়ে। ১১৮ রানে কনওয়ে ফিরলে মইন যখন ক্রিজে আসেন, তখন তাঁর সামনে একটাই লক্ষ্য – মারকুটে ব্যাটিং। সেই লক্ষ্যে দারুণ সফল এই তারকা, আভেশ খানকে টানা তিনটি চার মেরে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের লক্ষ্য। যদিও রবি বিষ্ণয়কে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরেছেন পরের ওভারেই। তবে তাঁর আগে মারকুটে ব্যাটিংয়ে চেন্নাইকে মোমেন্টাম এনে দিয়ে গেছেন, যার উপর দাঁড়িয়ে খেলা শেষ করে এসেছেন ধোনি-রাইডুরা। 

তবে ২১৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েও স্বস্তিতে থাকার জো নেই চেন্নাইয়ের। দীপক চাহার, তুষার দেশপান্ডেদের রীতিমতো পাড়ার বোলারে নামিয়ে পাঁচ ওভারেই ৭০ রান তুলে ফেলেন লখনৌর দুই ওপেনার। বিশেষ করে কাইল মেয়ার্সের সামনে রীতিমতো অসহায় লাগছিল চেন্নাইয়ের বোলারদের। সেই সময়ে ধোনি ভরসা রাখলেন পুরনো সেনানী মইনের উপর, তাঁর নিরীহদর্শন স্পিনটাই যেন প্রাণঘাতী হয়ে উঠলো প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ওভারের ফেরালেন ক্রমশই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠা মায়ার্সকে। 

এরপর সময় যত গড়িয়েছে, মইন তত আলো ছড়িয়েছেন। একে একে লোকেশ রাহুল, ক্রুনাল পান্ডিয়া, মার্কাস স্টয়নিসদের ফিরিয়ে লখনৌর ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ডই গুঁড়িয়ে দেন এই তারকা। অথচ মইনের বোলিংয়ে আপনি লম্বা টার্ন কিংবা আঙুলের ভেলকিবাজি পাবেন না। স্রেফ বুদ্ধিমত্তা আর বলের উপর নিয়ন্ত্রণ – এই দুয়ের উপর ভরসা করেই মইন যেন অপ্রতিরোধ্য। বাড়তি কিছু করার প্রচেষ্টা নেই, নেই বাঁধভাঙা উল্লাস, মইন যেন সেই মৌন সাধুর ন্যায় নিজের কাজটা করে যেতে পারলেই খুশি।

রানবন্যার এই ম্যাচে মইন চার ওভারে হজম করেছেন মাত্র ২৬ রান। চার উইকেট শিকারের পাশাপাশি তাঁর ওভারে বাউন্ডারি হয়েছে মাত্র একটি। মূলত তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদেই বাজে শুরুর পরও ম্যাচে ফিরতে পেরেছে ধোনির চেন্নাই। মাঝের ওভারগুলোতে রান আটকে ক্রমশই চাপ বাড়িয়েছেন লখনৌর ব্যাটারদের উপর, তাতেই কুপোকাত গৌতম গম্ভীরের শিষ্যরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...