পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন মোটে ১৪ টা ম্যাচ। দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে পাকিস্তানের ক্যাপ মাথায় তুললেও এই পাঁচটি ওয়ানডে ও নয়টি টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে সেই ঝলক খুব একটা বেশি দেখাতে পারেননি মোহাম্মদ হারিস। তবে হারিসের প্রতিভা আর সামর্থ্যের কারণেই তাকে সাদা বলে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ তারকা মনে করা হয়।
ক্যারিয়ারের শুরুটা দারুণ না হলেও ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করার রাস্তাটা খুঁজে বের করছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। হারিস মনে করেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও ধৈর্য ধরে রাখার ব্যাপার আছে। বাউন্ডারি মারার পাশাপাশি মনযোগী হতে হবে সিংগেলস, ডাবলস নেবার ক্ষেত্রেও।
এমনিতে বাউন্ডারি হাঁকানোর দক্ষতার জন্য পাকিস্তানে বেশ নাম ডাক আছে হারিসের। তবে হারিস মনে করেন তাঁর এই বাউন্ডারি হাঁকানোর দক্ষতার সাথে সিংগেলস ডাবল নেবার দক্ষতা যোগ করলে তাঁর সার্বিক পারফরম্যান্সও আগের তুলনায় অনেক ভালো হবে।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হারিস বলেন, ‘আমি ছক্কা ও চার মারতে পারি কিন্তু আমাকে সিংগেলস ও ডাবলস নেবার ক্ষেত্রেও আরো মনযোগী হতে হবে। যদি আমি আরেকটু ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করতে পারি তাহলে আমি ৩৫ রানকে ৫০ রানে, ৫০ রানকে ৭০ রানে পরিণত করতে পারব। সেই জন্য আমাকে গ্রাউন্ড শট খেলা আরো বেশি অনুশীলন করতে হবে এবং আমার নিজের খেলার এই দিকটায় আরো উন্নতি করতে হবে।’
শুধু সাদা বলে ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলা শুরু হলেও হারিস তিন ফরম্যাটেই প্রতিনিধিত্ব করতে চান পাকিস্তানকে। প্রকৃতিগত ভাবেই আগ্রাসী ব্যাটার হলেও তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলায় সেটা খুব বড় বাঁধা হবে না বলেও মনে করেন হারিস। এই ক্ষেত্রে তাঁর বড় অনুপ্রেরণা অজি কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।
নিজের আক্রমণাত্মক মনোভাব দিয়ে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সফল হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবকে উইকেটরক্ষন গিলক্রিস্ট। একই পথ অনুসরণ করে হারিসও তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তানের হয়ে খেলতে চান দাপটের সাথে।
হারিস আরো বলেন, ‘আমার স্বপ্ন পাকিস্তানকে তিন ফরম্যাটেই প্রতিনিধিত্ব করা। শুধুমাত্র আমি আক্রমণাত্মকভাবে খেলি বলে আমি শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেও গিলক্রিস্ট তিনটা ফরম্যাটেই খেলেছে।’