ওয়ানডে সিরিজ দাপটের সাথে জেতার পর টেস্টে সিরিজে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ শেষে অধিনায়ক মমিনুল হক জানিয়েছেন টেস্টে এখনো অনেক উন্নতির জায়গা রয়েছে তাদের। সফলতার জন্য ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মমিনুল হক বলেন, `আসলেই ২০ বছর হয়ে গেছে। তবে আমার মনে হয় ওইভাবে কোনো উন্নতিই হয়নি। আর উন্নতির শেষ নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুযোগ থাকে। আমরা যতদিন খেলব, যতদিন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করব, ততদিন উন্নতি করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলার অভ্যাস গড়তে হবে। লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটাই। ব্যাটসম্যানরা যদি তিন-চার সেশন ব্যাটিং করতে পারে, তাহলে টেস্ট দলের জন্য সহজ হবে।’
ঢাকা টেস্টে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিলো ২৩১ রান। যদিও ২১৫ রানের বেশি তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। তবে চ্যালেঞ্জটা কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু ছিলো না স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের জন্য। মমিনুল হক মনে করেন মানিয়ে নিতে না পেরেই হেরেছে তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে মমিনুলের ভাষ্য, ‘না পুরো চারদিনই ব্যাটিং খুব কঠিন মনে হয়নি। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু কঠিন উইকেট থাকলে সেটি মানিয়ে নিতে হবে। খুব বেশি বাউন্সও ছিল না। কর্নওয়াল কিছু বাউন্স পেয়েছে তাঁর উচ্চতার জন্য। আমাদের মানিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। সেটা আমরা করতে পারেনি। যার কারণে দ্বিতীয় টেস্টটা হাত থেকে চলে গেছে।’
তবে ২৩১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে তামিম ইকবাল। টার্নিং উইকেটে ধীরগতিতে না খেলে নতুন বলে আক্রমণাত্মক খেলে মাত্র ৪৪ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। ওপেনিং জুটিতে মাত্র ১২ ওভারে ৫৯ রান তোলে বাংলাদেশ। মমিনুল মনে করেন মাঝখানে বাজে ব্যাটিং করার জন্যই হেরেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য না। প্রথম ইনিংসেই কিন্তু ওরা এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তামিম ভাই, সৌম্য যেভাবে শুরু করেছিল, তখন মনে হয়েছিল আমরা খেলায় ছিলাম। হঠাৎ দুই-তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়াতে আমরা একটু পিছিয়ে পড়ি। শেষের দিকে মিরাজ খুব ভালো ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। মাঝখানে একটু উল্টোপাল্টা হয়ে গিয়েছে, যার কারণে আমরা ফিরতে পারিনি।’
ওয়ানডে সিরিজে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের সামনে। তাঁরাই কিনা টেস্টে হোয়াটওয়াশ করলো স্বাগতিকদের। মমিনুল মনে করেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারা ও ইতিবাচক ক্রিকেট না খেলার জন্যই এমন অবস্থা হয়েছে তাদের।
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমরা ভেঙ্গে পড়েছি। সেখান থেকে আমরা ফিরতে পারিনি। প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ইনিংস বলেন। নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। হয়তো আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। খুব বেশি কঠিন ছিল না। একটু ইতিবাচক খেললে হয়তো চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত। চট্টগ্রাম টেস্টে আমরা খুবই ইতিবাচক ব্যাটিং করেছি। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা সেই রকম ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে পারিনি।’