বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ দলের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এমনিতেই টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স খুব একটা সুখকর না। এছাড়া ২০২১ সালটাও ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। সবমিলিয়ে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা বাংলাদেশ দল ঘুরে দাঁড়াতে চায় নতুন বছরের শুরুতেই।
আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া টেস্ট নিয়ে তাই সংবাদ সম্মেলেনে শোনা গেলা আশাবাদী মুমিনুলের কন্ঠ। আগের বছরের ব্যর্থতাকে ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করতে চান বাংলাদেশের এই টেস্ট অধিনায়ক। কঠিন কন্ডিশন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট কোনকিছুই চিড় ধরাতে পারছেনা মুমিনুল হকের আত্মবিশ্বাসে।
আগামীকালের ম্যাচকে সামনে রেখে আজ সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ সবকিছু মিলিয়ে নতুন বছরে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আগে কি হয়েছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা না করে নতুন বছরে কিভাবে আরও ভালো করে চিন্তা করা যায়-আমি সেটাই ভাবছি। আমি আসলেই খুব রোমাঞ্চিত। শুরুটা ভালো হলে , আল্লাহর রহমতে ভালো ভাবে ক্যারি করার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে।’
মুমিনুলের কন্ঠে আত্মবিশ্বাসের সুর পাওয়া গেলেও নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বাংলাদেশের নেই কোন সুখস্মৃতি। এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে কোন ম্যাচ জয়ের স্বাদও পায়নি বাংলাদেশ। তবে সেসব পুরনো কথাবার্তা নিয়েও খুব একটা চিন্তিত নন মুমিনুল। তিনি এবারো ভরসা রাখছেন তাঁর দলের উপর।
তিনি বলেন, ‘যে কয়দিন অনুশীলন করেছি, অনুশীলনে ভালো অবস্থায় আছি। পুরনো রেকর্ডতো অতীত হয়ে গেছে। ওটা ঘাটাঘাটি করে, চিন্তা ভাবনা করে কোন লাভ হবে না। আমার মনে হয় সামনে যে জিনিসটা আছে সেটা নিয়ে চিন্তা করাটাই ভালো। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করাই ভালো। আমরা জানি নিউজিল্যান্ড আমাদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু আগে থেকেই যদি ব্যাকফুটে কিংবা নেতিবাচক চিন্তা থাকে তাহলে ভালো ফল আসবে। যতোই চ্যালেঞ্জ থাকুক আপনাকে সেটা নিতে হবে।’
বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডে কখনো ভালো না করলেও ব্যাক্তিগত কিছু সাফল্য এসেছে এখানে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা বড় বড় কিছু ইনিংসও খেলেছেন। সাকিব আল হাসানও তাঁর একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিটা করেছেন এই নিউজিল্যান্ডেই। ব্যাটাররা ভালো করলেও কেন দল সাফল্য পাচ্ছেন না এমন প্রশ্নও করা হয়েছিল মুমিনুলকে।
সাফল্য না পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘দেশে কিংবা দেশের বাইরে আমরা যতগুলো টেস্ট ম্যাচ জিতেছিলাম, সবগুলোই কিন্তু দলীয় পারফরম্যান্সের কারনে। আমার কাছে মনে হয় দুইজন একশো মারলো, বোলাররা যদি একজন ৫ উইকেট কিংবা আরেকজন যদি ৩ বা ৪ উইকেট না পায় তাহলে দলের ফল পাওয়াটা কঠিন। তখন হয়তো ব্যক্তিগত ফল হবে, কিন্তু দলীয় ফল ভালো হবে না। একজন দুইশো করলো, একজন একশো করলো। সাথে বোলরারা কেউ একজন পাঁচ উইকেট নিলো। কিংবা ২০ উইকেট নেওয়ার মতো পারফরম্যান্স বোলারদের কাছ থেকে আসা উচিত।’
নতুন বছরে এসব ভুলে নতুন করে শুরু করতে চান মুমিনুল। বাংলাদেশের সমর্থকরাও চায় আবার জয়ের ধারায় ফিরুক তাঁদের প্রিয় ক্রিকেট দল। তবে নতুন বছরে ভালো করার জন্য কী কী কাজ করলেন মুমিনুলরা। নতুন কোন উন্নতি কী চোখে পড়েছে?
টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘এখন আমরা অনুশীলনে সবাই সবাইকে যেভাবে দেখছি , দল অনুযায়ি খেলতে পারি ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই যদি ভালো করতে পারি তাহলে …ওটার জন্য এক্সসাইটমেন্ট কাজ করছে।’