একের পর এক চমকই যেন আসছে চেলসির কোচ নিয়োগের খবরে। ইউরোপীয় ফুটবলের সব বড় বড় নাম চেলসির কোচ হবার আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত চেলসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরো কিছুটা সময় নেবার। তাই অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে ফিরিয়ে এনেছে দেড় বছর আগে বরখাস্ত করা ফ্রান্ক ল্যাম্পার্ডকে।
তবে চমকের আরো বাকি ছিল এই প্রসঙ্গে। ইংলিশ গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, এই মৌসুম শেষে চেলসির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন এর আগে দুই মেয়াদে চেলসির ডাগআউট সামলানো জোসে মরিনহো।
গ্রাহাম পটারকে বরখাস্ত করার পর খালিই পড়ে আছে চেলসির পূর্ণকালীন কোচের পদটি। ল্যাম্পার্ড আপাতত এই মৌসুমের জন্য দায়িত্ব সামলালেও সামনের মৌসুমে যে নতুন কাউকে নিয়োগ দেবে চেলসি তা আগেই জানানো হয়েছিল। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানাচ্ছে, বর্তমানে রোমার দায়িত্বে থাকা মরিনহোকে কোচ হিসেবে পেতে এরই মধ্যে টেলিফোনে তাঁর সাথে কথাও এগিয়ে এনেছে চেলসি।
স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ মরিনহো এর আগেও দুই মেয়াদের চেলসির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পর্তুগীজ এই কোচের কোচিং প্রোফাইলটা বেশ ঈর্ষনীয়। সবাইকে অবাক করে দয়ে পোর্তোকে ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোর পর দায়িত্ব নেনে চেলসির। চেলসির হয়ে প্রথম মেয়াদে দারুণ সফল ছিলেন মরিনহো। ব্লুজদের জিতিয়েছেন একের পর এক শিরোপা।
চেলসিকে দুটি প্রিমিয়ার লিগ, দুটি এফএ কাপ আর দুটি লিগ কাপ জিতিয়েছিলেন মরিনহো। কিন্তু এতসব সাফল্যের পরেও ২০০৭ সালে চেলসির তৎকালীন মালিক রোমান আব্রামোভিচের সাথে বনিবনা না হওয়া চাকরি ছাড়েন মরিনহো। এরপর রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব নিয়েও ছিলেন দারুণ সফল। রিয়াল।মাদ্রিদ ছেড়ে ছয় বছর পর আবারো ফেরেন স্ট্রামফোর্ড ব্রিজে।
তবে দ্বিতীয় মেয়াদটা মোটেও সুখকর হয়নি মরিনহোর। ২০১৪-১৫ মৌসুমে দায়িত্ব নেবার পর চেলসিকে সে বছর দুটি শিরোপা এনে দিলেও পরের মৌসুমেই বাজে পারফর্মেন্সের দায়ে বরখাস্ত করা হয় তাকে। তখন মরিনহোর অধীনে ১৫ ম্যাচের নয়টিতেই হেরেছিল চেলসি।
এই মৌসুমেও যাচ্ছেতাই অবস্থা চেলসি। পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বরে আছে তারা। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা থেকেও অনেকটাই দূরে চেলসি। ক্লাবের এমন দুরবস্থা দূর করতে ল্যাম্পার্ডকে বসানো হয়েছে কোচের চেয়ারে।
তবে তৃতীয় মেয়াদে মরিনহো আবার স্ট্রামফোর্ড ব্রিজে ফিরবেন সেটা হয়তো ভাবেননি কেউ। কদিন আগেই গণমাধ্যম গুলোর খবর ছিল রিয়ালের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মরিনহো। কিন্তু ইংলিশ ও স্প্যানিশ গণমাধ্যম গুলোর যা খবর তাতে সামনের মৌসুমে স্পেনের চেয়ে ইংল্যান্ডেই মরিনহোকে দেখতে পাবার সম্ভাবনা বেশি।