ওপেনার নাইম, মিডল অর্ডারে আফিফ

আর কয়েক মাস পরেই বিশ্বকাপ; এর আগে রয়েছে এশিয়া কাপের মত আসর। তাই দল গুছিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের হাতে রয়েছে কেবল আফগানিস্তান সিরিজ। তাই ক্রিকেটারদের শেষ বারের মত বাজিয়ে নিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে আলাদা দৃষ্টি রাখবে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

আর কয়েক মাস পরেই বিশ্বকাপ; এর আগে রয়েছে এশিয়া কাপের মত আসর। তাই দল গুছিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের হাতে রয়েছে কেবল আফগানিস্তান সিরিজ। তাই ক্রিকেটারদের শেষ বারের মত বাজিয়ে নিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে আলাদা দৃষ্টি রাখবে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

পাঁচ জুলাই চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের আফগান মিশন। স্কোয়াডও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে যথারীতি। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ওপেনার নাইম শেখ; সেই সাথে আফিফ হোসেনও পুনরায় ডাক পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন রনি তালুকদার, ইয়াসির আলি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ানডে দল বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। তাসকিন আহমেদের নেতৃত্বে একটা পেস ব্যাটারি গড়ে উঠেছে দলে; শান্ত, মুশফিকরাও আছেন রানের মধ্যে। তবে কিছু জায়গায় সমস্যা এখনো কাটেনি; বিশেষ করে ওপেনিং জুটির অফ ফর্মের কারণে ব্যাকআপ ওপেনার নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়েছে কোচকে। এরই সমাধান হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) দুর্দান্ত খেলা নাইম শেখ ফিরেছেন দলে।

প্রেস কনফারেন্সে ইতোমধ্যে সেটা জানিয়েও দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল খেলতে না পারলে নাইম শেখের জায়গা হবে দলে – সেটি এই লঙ্কানের কথাতেই পরিষ্কার। সাম্প্রতিক সময়ে শুধু ফর্ম নয়, ফিটনেসের সাথেও লড়তে হচ্ছে ওয়ানডে ক্যাপ্টেনকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও ব্যাকপেইনের কারণে খেলতে পারেননি তিনি, তাই তাঁর ব্যাকআপ ভেবে রাখতে হচ্ছে কোচকে।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনের ফর্মও কথা বলছে নাইম শেখের পক্ষে। সর্বশেষ আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাই নজর কেড়েছেন নির্বাচকদের। এখনো অবশ্য কাজ শেষ হয়ে যায়নি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করে নিজেকে থিতু করার কঠিন কাজটাই বাকি নাইম শেখের জন্য।

টাইগারদের আরেকটি বড় দুর্বলতার জায়গা সাত নম্বর পজিশন। আফিফ হোসেনের অন্তর্ভুক্তি হয়তো সেই অভাব মোচনের জন্যই এমনটা ভেবেছিল প্রায় সবাই; কিন্তু হাথুরুসিংহের কথায় মিলেছে ভিন্ন ইঙ্গিত। স্টাইলিশ এই ব্যাটারকে নিচের দিকে খেলাতে চান না তিনি। আফিফ যদি একাদশে সুযোগ পান তবে তা হবে মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবেই। আফিফের সেরাটা পেতে এমন পদক্ষেপ সময়োপযোগী বটে।

ঘরোয়া টুর্নামেন্ট গুলোতেও মিডল অর্ডারে খেলেন আফিফ হোসেন। এর আগে বয়স ভিত্তিক দলগুলোতেও মিডল অর্ডার সামলেছিলেন তিনি। সেট হয়ে ইনিংস বড় করা যার অভ্যাস তাঁকে স্লগারের দায়িত্ব দেয়াটাই ভুল ছিল, আর সেই ভুলটাই এবার শুধরে দিয়েছেন লঙ্কান ক্রিকেট গুরু।

সেক্ষেত্রে সাত নম্বরে কে খেলবেন সেই বিতর্ক আবার জেগে উঠতে পারে। আপাতত যে কয়েক জনের নাম সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহান, শামিম হোসেন। এদের মধ্যে অবশ্য মোসাদ্দেক আর সৌম্যই সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সাত নম্বরের দৌড়ে।

ডিপিএলের পারফরম্যান্স মূল্যায়নে নাইম শেখ এবং আফিফ হোসেনের ফেরাটা যথেষ্ট যৌক্তিক। তবে সৌম্য সরকারের জাতীয় দলের আশেপাশে থাকাটা স্রেফ পুরনো রেকর্ডের জোরেই। একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ বাধ্য হয়েই অফ ফর্মে থাকা এই বাঁ-হাতিকে পুনরায় বিবেচনা করতে হচ্ছে।

আফগানিস্তান সিরিজে ভাল করতে পারলেই মিলবে এশিয়া কাপের টিকিট – ক্রিকেটারদের সেটা ভালভাবেই জানা আছে। তাই সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগাতে নিশ্চয়ই কার্পণ্য করবেন না নাইম, আফিফরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...