নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আইসিসির

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যাড বয়দের তালিকায় প্রথম দিকে থাকবেন নাসির হোসেন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। তবে এবার তাঁর বিতর্কিত ঘটনার রেশ জাতীয় পর্যায় ছাড়িয়ে গিয়েছে। আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট দুর্নীতির অভিযোগ করেছে এই ক্রিকেটারকে নিয়ে।

২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে নাসির হোসেন মাঠে নেমেছিলেন পুনে ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। দলটির অধিনায়কও ছিলেন তিনি, আর সে সময় আইসিসির কোড অব কন্টাক্ট ভঙ্গ করেন নাসির। আর তাই দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে।

সব মিলিয়ে নাসির হোসেনের নামে এখন তিনটি অভিযোগ উঠেছে। টি-টেন লিগে খেলার সময় তিনি ৭৫০ ডলার মূল্যমানের একটি গিফট কার্ড পেয়েছিলেন যা তিনি আইসিসিকে জানাননি।

অথচ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ৭৫০ বা তার বেশি মূল্যের উপহার পেলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে অবশ্যই বিস্তারিত জানাতে হবে। কি উপহার এসেছে, কেন এসেছে, কে দিয়েছে – সবকিছুর যৌক্তিক উত্তর দিতে হয় খেলোয়াড়কে। কিন্তু নাসির সেসব কিছুই করেননি।

এছাড়া বিশেষ একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার নিমন্ত্রণ পেলেও সেই ব্যাপারেও কাউকে কিছু বলেননি নাসির হোসেন। তবে এই দুই অভিযোগ আরো দৃঢ় হয়েছে নাসিরের পরবর্তী কার্যকলাপে, তাঁর ব্যাপারে উত্থিত অভিযোগ তদন্ত করার সময় ক্রিকেটার কাছ থেকে সাহায্য পায়নি বলে দাবি করেছে অ্যান্টি করাপশন ইউনিট।

আপাতত তাই নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত প্রমাণিত অভিযোগের কারণেই খুব সম্ভবত শাস্তি পেতে যাচ্ছেন নাসির। তবে কোনরকম ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলে বাড়তে পারে শাস্তির মাত্রা, আজীবনও নিষিদ্ধ হতে পারেন ক্রিকেট থেকে।

অনেকবারই নানানরকম নেতিবাচক আলোচনায় উঠে এসেছে নাসির হোসেনের নাম। এমনকি মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরের জীবনেও তিনি নিষ্কলঙ্ক নন। কিন্তু এবার যে অভিযোগ উঠেছে তাতে ক্যারিয়ার হুমকির মুখে; এক সময়ের ‘মিস্টার ফিনিশার’ নামে খ্যাতি পাওয়া নাসির কি না এখন ফিনিশ লাইনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link