নেহাল ওয়াধেরা, হুট করে শুনলে নামটা অপরিচিত মনে হতে পারে। তবে যারা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন তাঁদের কাছে খুব একটা অপরিচিত হওয়ার কথা নয়। কেননা, ২০২৩ সালের আইপিএলে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। তারপরও অদৃশ্য কোন কারণে চলতি মৌসুমের লম্বা একটা সময় সুযোগ আসেনি তাঁর কাছে, বসে থাকতে হয়েছে বেঞ্চে।
শেষমেশ অবশ্য রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে মাঠে নামতে পেরেছেন নেহাল, এতদিন একাদশের বাইরে থাকার রাগটা তাই তিনি দলটির বোলারদের ওপরেই ঝাড়লেন। সাহসী ব্যাটিং, দুর্দান্ত সব শট আর চলনে বলনে আত্মবিশ্বাসী – সবমিলিয়ে রাজস্থানের বিপক্ষে তাঁর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন প্রায় সবাই।
এদিন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মাত্র ২৪ বলে ৪৯ রান করেছেন এই ব্যাটার। সংক্ষিপ্ত কিন্তু কার্যকরী ইনিংসটি খেলার পথে তিনটি চার ও চারটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন কাউন্টার অ্যাটাকিং ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই ম্যাচে ফিরতে পেরেছিল মুম্বাই।
ছয় নম্বরে নামা এই বাঁ-হাতি যখন বাইশ গজে আসেন তখন ৫২ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। অন্যপ্রান্তে তিলক ভার্মা হাল ধরার চেষ্টা করলেও যোগ্য সমর্থন পাচ্ছিলেন না। ঠিক সে সময় ভরসা হয়ে ওঠেন তিনি, তিলকের সঙ্গে গড়ে তোলেন অনবদ্য এক জুটি। তাঁদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে দ্রুতই বিপর্যয়ের মেঘ সরে সোনালী রোদ উঁকি দিতে শুরু করে।
তিলক তুলনামূলক সাবধানী ক্রিকেট খেললেও ওয়াধেরা আধিপত্য বিস্তার করেছেন বোলারদের ওপর। আভেশ খানকে দুইবার উড়িয়ে মেরেছেন বাউন্ডারির ওপারে, যুজবেন্দ্র চাহালের মত অভিজ্ঞ লেগস্পিনারের টানা দুই বলে দুই ছয় আদায় করেছেন তিনি। যদিও হাফসেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রান দূরে থামতে হয় তাঁকে, তবে নিজের কাজটা করে দিয়েছিলেন ততক্ষণে।
চলতি আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দারুণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়েছেন উদীয়মান এই তারকা। সংখ্যায় তো বটেই, ইম্প্যাক্ট বিবেচনায় তাঁর এমন পারফরম্যান্স নি:সন্দেহে মনে রাখার মত। যেই পরিস্থিতিতে তিনি ব্যাট হাতে নেমেছেন, এরপর যা করেছেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভারতীয় সমর্থকেরা তাই নতুন প্রতিভার আগমনে খুশি হতেই পারে।