মানকাডিংয়ের শাপমোচন

ক্রিকেটে আসছে বেশ কিছু পরিবর্তন। প্রায় লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটে চলতে থাকা বেশ কিছু প্রচলিত নিয়মে আসতে যাচ্ছে পরিবর্তন। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এক বৈঠকে বেশ কিছু পুরোনো নিয়ম বদলে ফেলার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। আর এই অনুমোদন অনুযায়ী চলতি বছরের অক্টোবর থেকে সেগুলো কার্যকর করা হবে। বুধবার ২০২২ কোড অব ল- পরিবর্তনগুলির কথা ঘোষণা করেছে এমসিসি।

ক্রিকেটে আসছে বেশ কিছু পরিবর্তন। প্রায় লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটে চলতে থাকা বেশ কিছু প্রচলিত নিয়মে আসতে যাচ্ছে পরিবর্তন। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এক বৈঠকে বেশ কিছু পুরোনো নিয়ম বদলে ফেলার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। আর এই অনুমোদন অনুযায়ী চলতি বছরের অক্টোবর থেকে সেগুলো কার্যকর করা হবে। বুধবার ২০২২ কোড অব ল- পরিবর্তনগুলির কথা ঘোষণা করেছে এমসিসি।

  • ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন

ব্যাটার ক্যাচ আউট হলে দুই প্রান্তের ব্যাটার যদি পরস্পরকে অতিক্রম করে সেক্ষেত্রে পুরাতন নিয়ম অনুযায়ী নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটার তখন স্ট্রাইক পেতেন। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্যাচ আউট হলেও দুই প্রান্তের ব্যাটার পরস্পরকে অতিক্রম করলেও নতুন ব্যাটার ক্রিজে এসে স্ট্রাইক প্রান্তে থাকবে।

সবশেষ ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড লিগে এই নিয়ম মেনেই টুর্নামেন্ট পরিচালনা করা হয়।

  • বলে লালার ব্যবহার

করোনার প্রকোপ বাড়ার পরেই বেশ কিছু নিয়মের মধ্যে একটি ছিলো বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ! অবশেষে সেই সিদ্ধান্তেই অটল থাকছে এমসিসি। এমসিসি থেকে বলা হয়, বল উজ্জ্বল করার জন্য লালা ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ছিলো সেটাই চলমান থাকবে। এমসিসির মতে বল উজ্জ্বল করার জন্য লালা ব্যবহারের যে ধারনা আগে থেকে পোষন করা ছিল তা ততোটা প্রভাবিত না বলে প্রমান পেয়েছে তারা।

  • মানকাডিং

মানকাডিং নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। অনেকেই এটিকে স্পিরিট অব দ্য গেইম হিসেবে এই আউটকে নিষিদ্ধের দাবি জানান। আবার কারো কারো মতে ব্যাটাররা যাতে অতিরিক্ত সুবিধা না পেতে পারে তাই এই আউট বৈধতা দেওয়া উচিত।

অবশেষে এ ব্যাপারেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমসিসি। এমসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী মানকাডিংকে এখন থেকে গন্য করা হবে রান আউট হিসেবে। যারা জন্য ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। এতোদিন এটি ক্রিকেট আইনের ৪১ ধারা অনুযায়ী ‘আনফেয়ার প্লে’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও নতুন নিয়ম অনুযায়ী এটিকে আইনের ৩৮ ধারায় (রান আউট) নেওয়া হচ্ছে।

  • ডেড বল

এর আগেও ডেড বল নিয়ে একাধিকবার নিয়ম পরিবর্তন করে এমসিসি। অনেক সময় দেখা যায় মাঠের মধ্যে কোনও ব্যক্তি হঠাৎ ঢুকে পড়ায় খেলার মধ্যে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে অনেক সময়ে দেখা যায় এর ফলে কোনও একটা পক্ষ মাঝেমধ্যেই অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে যান।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বল করার পর পর কোনও ব্যক্তি, পশু বা অন্য কোনও কিছু খেলায় ব্যাঘাত ঘটালে সেই বলটিকে ডেড বল ঘোষণা করার ক্ষমতা থাকবে আম্পায়ারের কাছে।

  • স্ট্রাইকিং প্রান্তে থ্রোয়িং

যদি কোনও বোলার ডেলিভরি স্ট্রাইডে প্রবেশ করার আগে ব্যাটসম্যানকে আউট করার জন্য স্ট্রাইকিং এন্ডে বল ছোঁড়েন, তাহলে সেটিকে ডেড বল বলা হবে।

  • আনফেয়ার ম্যুভমেন্ট

অনেক ক্ষেত্রেই বোলার বোলিংয়ের সময় ফিল্ডাররা জায়গা পরিবর্তন কিংবা মাঠের মধ্যে নিজের পজিশন থেকে অন্যত্র সরেন। এক্ষেত্রে ব্যাটার বাউন্ডারি হাঁকালেও পূর্বে এটিকে ডেড বল হিসেবে গণ্য হতো। তবে এখন থেকে নতুন নিয়কে এমন কিছু ঘটলে ব্যাটিং দল ৫ রান পেনাল্টি হিসেবে পাবে।

  • ওয়াইড বল

বর্তমান ক্রিকেটে অনেক সময় ব্যাটারদেরকে ক্রিজের সামনে পেছনে নড়াচড়া করে বোলারকে বিভ্রান্ত করতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে হয়তো একজন ব্যাটার অনেকটা সামনে এগিয়ে গেল পরে আবার পিছিয়ে আসলে বলটা ওয়াইড লাইন অতিক্রম করে ফেলতে পারে। তবে এখন থেকে ওয়াইড বল ধরা হবে বোলার বল ছাড়ার পর ব্যাটার কোন জায়গায় দাঁড়িয়েছেন সেটার ওপর ভিত্তি করে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...