নতুন করে পাবো বলে

একজন বাবা হিসেবেই বা এই মুহূর্তটা কম কিসের। মাঝে মাত্র কয়েকদিনের ছুটিতে দেশে ফিরেছিলেন। এরমাঝের পুরো সময়টাই দিয়েছেন পরিবারকে। তবে ছেলের সাথে হোম অব ক্রিকেটের এই দৌড়াদৌড়ি হয়তো মিরাজের জন্যেও বিশেষ। সেটা মিরাজের চোখে-মুখে তাকালেও বোঝা যাচ্ছে।

নিজের এই ক্ষুদ্র জীবনে কত কী-ই তো অর্জন করে ফেলেছেন তিনি। সামনে পড়ে আছে আরো লম্বা পথ। তবে এসবকিছুই যেন বৃথা এই দৃশ্যটার সামনে। মিরপুরে নিজের প্রিয় মাঠে মেহেদী হাসান মিরাজ তাঁর ছেলের সাথে খেলায় মেতে উঠেছেন। ছোট্ট ছেলেটাকে মাঠটা একটু ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন। মিরাজের ছেলে হয়তো এখনো বোঝে না বাবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় তারকা। তবে বাবার সাথে এই ছুটোছুটির দৃশ্যটা বোধহয় তাঁর মনে গেথে থাকবে অনেকদিন।

একজন বাবা হিসেবেই বা এই মুহূর্তটা কম কিসের। মাঝে মাত্র কয়েকদিনের ছুটিতে দেশে ফিরেছিলেন। এরমাঝের পুরো সময়টাই দিয়েছেন পরিবারকে। তবে ছেলের সাথে হোম অব ক্রিকেটের এই দৌড়াদৌড়ি হয়তো মিরাজের জন্যেও বিশেষ। সেটা মিরাজের চোখে-মুখে তাকালেও বোঝা যাচ্ছে।

মেহেদী হাসান মিরাজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় তারকা হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসার নাম তিনি। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফর্মারও মিরাজ। গাঁয়ের পাশে বসেছে তারকার তকমা। তবে এখনো সাদামাটা জীবনেই বেশি বাঁচতে চান মিরাজ।

হোম অব ক্রিকেটে এসেছিলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্যে জার্সি নিতে। তবে মিরাজ মিরপুর স্টেডিয়ামে ঢুকলেন পায়ে হেঁটে। পরবে সাদামাটা পোশাক আর মুখে সর্বক্ষন লেগে থাকা একটা হাসি। তবে এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে বিসিবিতে মিরাজের জার্সি নিতে আসার ঘটনাটায়ও একটা বিশেষত্ব আছে।

কেননা লম্বা একটা সময় পর আবার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক এসেছে মেহেদী হাসান মিরাজের। নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে কদিন আগেই একটা তরুণ টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই দলে জায়গা পেয়েছেন মিরাজও। টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে মিরাজ বাংলাদেশের অটোচয়েজ হলেও উলটো চিত্র টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।

টেস্ট ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন মিরাজ। এই ফরম্যাটে মাত্র ৩৫ টেস্টেই মিরাজের ঝুলিতে আছে ১৩৫ উইকেট। ফলে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে মিরাজকে ছাড়া বাংলাদেশ দল কল্পনাই করা যায়। এছাড়া ব্যাট হাতেও ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরছেন মিরাজ। ব্যাট হাতে এই ফরম্যাটে একটা সেঞ্চুরিও আছে তাঁর।

ওদিকে ওয়ানডে ফরম্যাটেও সাকিবের সাথে তাঁর জুটিটা বেশ জমে উঠেছে। বাংলাদেশের হয়ে খেলা ৬১ ওয়ানডে ম্যাচে আছে ৭১ উইকেটও। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তেমন ম্যাচই খেলেননি দেশের অন্যতম সেরা এই স্পিনার। একেবারে সুযোগ পাননি সেটা বলাও ঠিক হবেনা। বাংলাদেশের হয়ে ১৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও উইকেট নিতে পেরেছিলেন মাত্র ৪ টি। বল হাতেও ছিলেন বেশ খরুচে। ফলে সেই ১৩ ম্যাচেই থেমে ছিল তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। এরপর আর কখনো এই ফরম্যাটে মাঠে নামা হয়নি তাঁর। তবে আবার সুযোগ এসেছে মিরাজের সামনে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ফিরেছেন টি-টোয়েন্টি দলেও। যদিও এই ফররম্যাটে এখন বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ সামলান শেখ মেহেদী, নাসুম আহমেদরা।

তবে, জিম্বাবুয়েতে আরেকজন বাড়তি স্পিনার খেলাতে চাইলে একাদশে আবার জায়গা হতে পারে মিরাজের। চার বছর পর আবার সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটটায় মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে তাঁকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...