এমবাপ্পে, নতুন মিশন, নতুন প্রত্যয়

সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছিলেন তিনি। ১৯৬৬ সালের পর করেছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম হ্যাটট্রিক। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। হ্যাটট্রিক করেও পরাজিতদের দলে কিলিয়ান এমবাপ্পে।

সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছিলেন তিনি। ১৯৬৬ সালের পর করেছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম হ্যাটট্রিক। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। হ্যাটট্রিক করেও পরাজিতদের দলে  কিলিয়ান এমবাপ্পে।

তাই, আট গোল করে গোল্ডেন বলের পুরস্কারও তাঁর মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি। তবে, পেশাদার ফুটবলারদের কি আর থেমে থাকলে চলে। ২৪ বছর বয়সী এমবাপ্পেও তাই শুরু করছেন নতুন উদ্যোমে।

বিশ্বকাপ ফাইনালের হতাশা কাটিয়ে তিন দিনের মধ্যেই গতকাল বুধবার থেকে পিএসজির অনুশীলনে ফিরেছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও তিনি আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে দলকে রক্ষা করতে পারেননি।

২৪ বছর বয়সী এমবাপ্পে পরবর্তীতে পেনাল্টি শ্যুট আউটে নিজে গোল করলেও সতীর্থদের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হন। ম্যাচে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও এমবাপ্পের দুই গোলেই ফ্রান্স সমতা ফিরিয়েছিল। এরপর অতিরিক্ত সময়েও এমবাপ্পের পেনাল্টিতেই ফ্রান্স ৩-৩ গোলের সমতায় ফেরে। এমবাপ্পের একটি ছবি দিয়ে পিএসজি টুইট করেছে, ‘বুধবার অনুশীলনে ফিরেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।’

সর্বোচ্চ আট গোল করে কাতার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটও জয় করেছে এমবাপ্পে। ধারণা করা হয়েছিল এমবাপ্পে হয়তো জানুয়ারির আগ পর্যন্ত দলে ফিরবেন না। আগামী ২৮ ডিসেম্বর স্ট্রসবার্গের বিরুদ্ধে পুনরায় শুরু হওয়া লিগ ওয়ানের প্রথম ম্যাচে এমবাপ্পে খেলবেন কিনা এ ব্যপারে অবশ্য পিএসজি নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।

রোববারের ফাইনালে বিরতির সময় ফ্রান্স যখন ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল তখন এমবাপ্পে সতীর্থদের উদ্দেশ্য করে কি বলেছিলেন তার একটি তথ্যচিত্র কাল প্রকাশ পেয়েছে। ফরাসি ব্রডকাস্টার টিএফওয়ানের তথ্যচিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে, এমবাপ্পে শুনিয়েছিলেন আশার বাণী।

বলেছিলেন, ‘এটা বিশ্বকাপ, এটা সকলের জন্য সারা জীবনের একটি ম্যাচ। ইতোমধ্যেই আমরা যা খেলেছি এর থেকে বাজে আর খেলা যায় না। আমরা আবারো মাঠে নামতে যাচ্ছি, হয় আমরা অবিবেচকের মত খেলবো, নতুবা নতুনভাবে নিজেদের ফিরিয়ে আনবো। এটা বিশ্বকাপের ফাইনাল। আমরা ২-০ গোলে পিছিয়ে আছি ঠিকই, কিন্তু ফিরে আসাও কঠিন নয়। সবাই শোন এমন সুযোগ চার বছরে একবার আসে।’

৮০ মিনিটে এমবাপ্পে ৯৭ সেকেন্ডের মধ্যে দুই গোল করে ফ্রান্সকে ঠিকই ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন। এরপরের গল্পটা সবারই জানা, টাইব্রেকারে এমবাপ্পে নয়, বরং মেসিই হাসেন শেষ হাসি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...