পাকিস্তানের উদীয়মান ক্রিকেটারের একজন শামিল হুসেইন। ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটার পাকিস্তানের পরিচিত সাংবাদিক তালাট হুসেইনের পুত্র। যিনি পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির একজন ক্রিকেটার ছিলেন। তবে চোটের কারণে ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে পারেননি তিনি।
তবে তাঁর পুত্র শামিল একজন তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়। সম্প্রতি ক্রিকেট পাকিস্তানের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এই তরুণ তাঁর ক্রিকেট যাত্রার কথা প্রকাশ করেছেন। এই খেলার প্রতি তাঁর পরিবারের আবেগের গভীরতাও প্রকাশ করেন শামিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে যুবা পর্যায়ের মাধ্যমে তাঁর ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়।
শামিল বলেন, ‘আমার বাবা ক্রিকেট পছন্দ করতেন এবং আমার চাচারাও খেলাধুলা করতেন। আমি ছয় বা সাত বছর বয়সে ক্রিকেট বল নিয়ে খেলা শুরু করি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৩ থেকে। আমি এবং আমার পরিবার একসাথে বাড়ির পেছনে ক্রিকেট খেলতাম। ধীরে ধীরে আমি পিসিবির হয়ে অনূর্ধ্ব-১৩ খেলতে অগ্রসর হই। এর ৩ বছর পর অনূর্ধ্ব-১৬ এবং তারও তিন বছর পর অনূর্ধ্ব-১৯ খেলি। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে খেলেছি। শেষ পর্যন্ত পিএসএলেও অংশ নেই।’
২০২৩ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭৫ রানের ইনিংসটি শামিলের প্রিয় ইনিংস। এই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় ইনিংসটি ছিল এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। যেখানে আমি ৭৫ রান করেছিলাম। সেই ইনিংসটি আমাকে পিএসএলে খেলতে সাহায্য করেছিল। কারণ পরের দিন পিএসএলের ড্রাফট ছিল এবং ইসলামাবাদ ইউনাইটেড আমাকে বেছে নিয়েছিল।’
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের তৃতীয় শিরোপা জয়ে তাঁদের সাথে থাকলেও কোনো ম্যাচ খেলতে পারেনি এই বাঁ-হাতি তরুণ ব্যাটার। তবে সেখানকার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন শামিল। তিনি বলেন, ‘ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের পরিবেশ খুবই ইতিবাচক ছিল। সিনিয়র এবং জুনিয়রদের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না; সবাই সমান ছিল। বড় ভাইয়ের মতো সবার সাথে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ছিল।’
তাঁর দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য সম্পর্কে শামিল বলেন, ‘আমার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য স্পষ্টতই পাকিস্তানের হয়ে খেলা। কিন্তু আমার দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা ভিন্ন। আমি আমার যোগ্যতা বিশ্বকে দেখাতে চাই। শৈশব থেকে আমি যে পরিশ্রম করেছি তার প্রতিফলন দেখাতে চই। তা কোনো মঞ্চ, লিগ বা জাতীয় দলেই হোক না কেন। আমি ক্রিকেট উপভোগ করতে চাই, চাকরির মতো খেলতে চাই না।’