প্রায় এক বছর বাদে মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার জুনিয়র। ফিরেই আবার ছয় সপ্তাহের জন্যে ছিটকে গেছেন মাঠ থেকে। তাইতো গুঞ্জন বেশ জোরাল, সৌদির ক্লাবটি নেইমারের সাথে চুক্তি বাতিল করতে পারে। সবাই তাই সন্দিহান এই ব্রাজিলিয়ানের ভবিষ্যত নিয়ে।
এসিএল ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন নেইমার। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই আবার হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়েছেন। বিপুল অংকের অর্থ ব্যয়ে নেইমারকে নিজেদের ডেরায় রেখেছে আল হিলাল। এক বছর নেইমারের কাছ থেকে কোন ধরণের সার্ভিস পায়নি ক্লাবটি।
এখন আবার নতুন ইনজুরি। অন্যদিকে, ইনজুরির সাথে নেইমারের গভীর সখ্যতা রয়েছে। এসব কিছু বিচারে আল হিলাল চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সমাপ্তি রেখা টেনে দিতে পারে। যদিও নেইমার বেশ ইতিবাচক আল হিলালে টিকে যাওয়ার বিষয়ে।
সৌদি আরবের ফুটবল সংস্কৃতিতে একটা বাড়তি উন্মাদনা যুক্ত করেছেন নেইমার। তাছাড়া ক্লাবের সাথে তার সম্পর্ক খারাপ- এমন একটা গুঞ্জন রয়েছে। কিন্তু নেইমার বেশ দৃঢ়তার সাথেই জানিয়েছেন যে তিনি যে আতিথেয়তা পেয়েছেন তা প্রশংসনীয়। অতএব তার ভাষ্যমতে, রুঢ় কোন সিদ্ধান্ত হয়ত এখনই নিচ্ছে না সৌদির ক্লাবটি।
তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নেইমারকে তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিকল্প নেই। আর কতকাল অযথাই অর্থের অপচয় করা যায় বলুন! তেমন পূর্বাভাস থেকেই বেশ কিছু ক্লাব নেইমারের দ্বারস্থ হয়েছে। এর মধ্যে লিওনেল মেসির ইন্টার-মায়ামি রয়েছে। এছাড়াও নেইমারের শৈশবের ক্লাব সান্তোস খুব করে তাকে ফিরে পেতে চাইছে।
ইনজুরির কোলে দুলতে থাকা নেইমারের ভবিষ্যত কি, তা সময় গড়ালেই হয়ত পরিষ্কার হবে। আল হিলালের জন্য নেইমার রীতিমত আহত এক সাদা-হাতি। এর থেকে পরিত্রাণ পেলেই যেন বাঁচে ক্লাবটি। তাছাড়া নেইমারকে ছাড়াই গত মৌসুমে ১৬ পয়েন্টের ব্যবধানে সৌদি প্রো লিগ জিতেছে আল হিলাল। সুতরাং নেইমারকে ‘ক্যারি’ করার বিশেষ কারণও নেই ক্লাবটির কাছে।