২৪ সেপ্টেম্বর আয়োজিত হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর ড্রাফট; সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে বিপিএল কমিটি। সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম; এছাড়া আছেন দেশের পরিচিত অর্ধ-পরিচিত অনেক ক্রিকেটার।
তবে লম্বা এই তালিকার পুরোটা জুড়ে খুঁজেও পাওয়া যায়নি নাসির হোসেনের নাম। গত আসরে ঢাকা ডমিনেটর্সের নেতৃত্ব দেয়া নাসিরকে এবার তাই দেখা যাবে বিপিএলে। হঠাৎ কি এমন হলো, গত টুর্নামেন্টেও দারুণ অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স এই ডানহাতিকে সুযোগ দেয়া হলো না দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া টুর্নামেন্টে?
সাম্প্রতিক সময়ে নাসির হোসেনের খোঁজ খবর রাখলে অবশ্য কারণটা জানার কথা। মূলত ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) তদন্তের অধীনে থাকায় তাঁকে রাখা হয়নি ড্রাফটে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বরাবরই ম্যাচ ফিক্সিং, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে থাকে। তাই তো নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে আমিরাতস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অভিযোগ উঠতেই তাঁকে মূলধারার ক্রিকেট থেকে বাইরে রাখছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ ব্যাপরে বিসিবির এক সদস্য জানান, ‘আইসিসির তদন্তের অধীনে থাকায় নাসিরকে আমরা বিপিএলের ড্রাফটে রাখিনি। অভিযোগ থেকে পূর্ণ অব্যহতি না পাওয়া পর্যন্ত সে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনভাবেই অংশ নিতে পারবে না।’
২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে নাসির হোসেন মাঠে নেমেছিলেন পুনে ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। সে সময় আইসিসির কোড অব কন্টাক্ট ভঙ্গ করেন নাসির। তাঁর নামে মোট তিনটি অভিযোগ উঠেছে। টি-টেন লিগে খেলার সময় তিনি ৭৫০ ডলার মূল্যমানের একটি গিফট কার্ড পেয়েছিলেন যা আইসিসিকে জানাননি।
অথচ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ৭৫০ বা তার বেশি মূল্যের উপহার পেলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে অবশ্যই বিস্তারিত জানাতে হয়। এছাড়া বিশেষ একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার নিমন্ত্রণ পেলেও সেই ব্যাপারেও কাউকে কিছু বলেননি নাসির হোসেন।
এই অভিযোগগুলো আরো দৃঢ় হয়েছে নাসিরের পরবর্তী কার্যকলাপে, তাঁর ব্যাপারে উত্থিত অভিযোগ তদন্ত করার সময় ক্রিকেটার কাছ থেকে সাহায্য পায়নি বলে দাবি করেছে অ্যান্টি করাপশন ইউনিট। তাই তো নাসিরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত করছে তাঁরা।
আপাতত পরিস্থিতি নাসির হোসেনের প্রতিকূলেই, বড় কোন শাস্তির ক্ষণ গণনা করতে হচ্ছে তাঁকে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু সময়।