পেসারদের মধ্যে নাম্বার ওয়ান হারিস রউফ!

সাম্প্রতিক সময়ে হয়তো সেরা ছন্দে নেই হারিস রউফ, তবে রেকর্ড গড়ে চলেছেন ঠিকই। কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একশো উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। পেসার হিসেবে সবচেয়ে কম ম্যাচে এই অর্জন যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে আর সবমিলিয়ে সেঞ্চুরি ক্লাবের তৃতীয় দ্রুততম বোলার তিনি।

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অবশ্য এই ডান-হাতির ফর্ম সন্তোষজনক ছিল না। বিশেষ করে রান খরচের বেলায় বড্ড উদার ছিলেন তিনি, ওভার প্রতি দিয়েছেন দশের বেশি রান। কিন্তু টিম ম্যানেজম্যান্ট আস্থা রেখেছিল তাঁর ওপর; সেটার প্রতিদান পর পর দুই ম্যাচে দিলেন।

ডু অর ডাই পরিস্থিতিতে থাকা পাকিস্তান এদিন মুখোমুখি হয়েছিল কানাডার বিপক্ষে। এই ম্যাচে চার ওভার বল করে ২৬ রান খরচ করেছেন এই ডান-হাতি; বিনিময়ে উইকেট শিকার করেছেন দুইটি। দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেয়ার মাধ্যমেই মূলত বহুল আকাঙ্ক্ষিত কীর্তির মালিক হয়েছেন তিনি। সেজন্য মাত্র ৭১ ইনিংসে বল করতে হয়েছে তাঁকে।

পেসারদের মধ্যে দ্রুততম উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করার রেকর্ড ছিল মার্ড অ্যাডেয়ারের দখলে। তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করতে এই আইরিশ পেসারের প্রয়োজন হয়েছিল ৭২ ইনিংস। এতদিন অবশ্য যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন তিনি, কেননা ওমানের পেসার বিলাল খানও সমান ৭২ ইনিংসে শততম উইকেট উদযাপন করেছিলেন।

যদিও স্পিন ও পেস মিলিয়ে মর্যাদার রেকর্ডটি আছে রশিন খানের দখলে। স্রেফ ৫৩ ইনিংসেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে একশো উইকেট পেয়েছিলেন তিনি, আরেক লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আছেন তালিকার দুই নম্বরে। রশিদের চেয়ে দশ ইনিংশ বেশি লেগেছিল তাঁর।

এছাড়া বাংলাদেশীদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান এবং সাকিব আল হাসান আছেন যথাক্রমে সাত এবং আট নম্বরে। ৮১ ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেটের মালিক হয়েছিলেন মুস্তাফিজ, আর সাকিবকে খেলতে হয়েছে ৮৪ ইনিংস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link