২০১৯ বিশ্বকাপ, মার্টিন গাপটিলের ডিরেক্ট থ্রোতে আউট মহেন্দ্র সিং ধোনি। মুহূর্তের মাঝে স্তব্ধ পুরো হয়েছিল ভারত, সেমিফাইনালেই থেমে গিয়েছিল তাঁদের বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মলিন মুখ দেখে সেদিন হয়তো মন খারাপ হয়েছিল ক্রিকেট বিধাতার; তাই তো প্রতিশোধের সুযোগ করে দিয়েছেন এবার।
ঠিক চার বছর পরেই আরো একটি বিশ্বকাপে আরো একবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত আর নিউজিল্যান্ড। এবার কি তবে হারের দুঃসহ বেদনা কিউইদের ফিরিয়ে দিতে পারবে রোহিতের দল, সেই প্রশ্নই ঘুরছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
চার বছরে আসলে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে, বদল এসেছে দুই দেশের স্কোয়াডেও। বর্তমান দল বিবেচনায় স্বাগতিকরা অবশ্য এগিয়েই আছে; টপ অর্ডারে রোহিত, বিরাট; মিডল অর্ডারে শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল সবাই ফর্মে আছেন। সেই তুলনায় নিউজিল্যান্ড এখন রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসনদের ওপর একটু বেশিই নির্ভরশীল। কোনক্রমে তাঁরা ব্যর্থ হলে বড় রান করা কঠিন হয়ে যাবে দলটির জন্য।
বোলিংয়েও এগিয়ে আছে টিম ইন্ডিয়া; সিরাজ, বুমরাহ আর শামির পেসত্রয়ীর সামনে টিকে থাকা বড্ড কঠিন সেরা ব্যাটারদের জন্যও। অবশ্য ট্রেন্ট বোল্টরা পিছিয়ে আছে এমনটাও নয়, তবে আগের মত বিধ্বংসী এখনো হয়ে উঠতে পারেননি ব্ল্যাকক্যাপস পেসাররা।
সেজন্য গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্সের বিচারেও পিছিয়ে আছে বর্তমান রানার আপরা। ভারতের নয় জয়ের বিপরীতে তাঁদের জয় মাত্র পাঁচটা। অথচ শুরুটা কি দারুণভাবেই না করেছিল লাথাম, কনওয়েরা; প্রথম চার ম্যাচেই আট পয়েন্ট তুলে নিয়েছিল। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে ভারতের বিপক্ষে হারতেই পাল্টে গিয়েছিল চিত্রপট; টানা চার ম্যাচ পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল তাসমান সাগর পাড়ের দলটি।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্ককে হারিয়ে শেষ দিল হিসেবে সেমিতে উঠতে হয়েছে তাঁদের, তাই পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হওয়ারও সুযোগ নেই। কিন্তু স্বাগতিকরা ঠিকই উড়ছে, টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে ভারত। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাই ফেভারিট হয়েই নামবে তাঁরা।
তবে অনিশ্চয়তার খেলায় নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ নেই। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের স্মৃতি তাই ফিরে আসলেও আসতে পারে; কি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।