ওয়ানডে হওয়া উচিত শান্তর ‘ফোকাল পয়েন্ট’

নাজমুল হোসেন শান্তকে আরও বেশি মনোযগী হওয়া প্রয়োজন। তবে তা কেবলই ওয়ানডে ক্রিকেটে।

নাজমুল হোসেন শান্তকে আরও বেশি মনোযগী হওয়া প্রয়োজন। তবে তা কেবলই ওয়ানডে ক্রিকেটে। আপাতত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া উচিত তার। তখনই সফলতা নিয়মিত হবে শান্তর জীবনে।

টি-টোয়েন্টিতে শান্তর গড় ২২.৮৫। আর স্ট্রাইকরেট মাত্র ১০৮ এর একটু বেশি। এই পরিসংখ্যান বর্তমান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিচারে, ‘বিলো এভারেজ’। এমন পারফরমেন্স শান্তকে বিপাকে ফেলছে। তাকে মানসিকভাবে পীড়া দিচ্ছে।

আর ঠিক সে কারণেই বাকি দুই ফরম্যাটেও শান্ত ধুকছেন। ব্যাটে রান পাচ্ছেন না। রান এলেও তা ধারাবাহিক হচ্ছে না। এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজে শান্ত যেন আবারও প্রমাণ করলেন তিনি একেবারেই খারাপ ব্যাটার নন।

আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে তার। টেকনিক্যাল দূর্বলতাও রয়েছে। সেসবের মাঝেও রানের দেখা পেয়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা রয়েছে তার। চলতি বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রায় ২৫০ এর বেশি রান পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২২ রানের একটি ইনিংস রয়েছে।

কিন্তু এই ধারাবাহিকতা আড়ালে থেকে যায়। টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট ক্রিকেটের খারাপ পারফরমেন্স একটা পর্দা তুলে দেয়। শান্তকে তখন ঘিরে ধরে সমালোচনার বিষাক্ত ধোঁয়া। কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত।

ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি মূলত অ্যাংকরিং করে থাকেন। তার পরিসংখ্যানে হয়ত বিষয়টি ঠিকঠাক ফুটে ওঠে না। ১০০ এর আশেপাশে স্ট্রাইকরেটে নিজের ইনিংসটি শেষ করেন। সেটাই বরং দলে একটা স্থিতিশীলতা এনে দেয়। সে কাজটা তিনি দারুণভাবে করতে জানেন। করছেনও নিয়মিতভাবে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগে শেষ দশ ওয়ানডে ইনিংসে শান্ত করেছেন ৩৮৩ রান। দু’টো অপরাজিত ইনিংস সহ, শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে একটা ৯০ রানের ইনিংস রয়েছে। যে ইনিংস বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত করতে সহয়তা করেছিল।

কিন্তু যখনই তিনি টি-টোয়েন্টিতে ফেরেন, তখনই তার মাথায় ভর করে বিষন্নতা। তিনি যে কাজটা ওয়ানডেতে করেন, সে কাজটাই করতে চান টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদা মোটেও সেটা নয়। সে কারণেই শান্ত নিজের সামর্থ্যের উপর প্রশ্ন তোলেন, সমালোচকরাও তাকে ঘিরে ধরে।

এসব কারণেই শান্তর উচিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে দূর ঠেলে দেওয়া। কেবল তবে সফলতা হবে শান্তর সঙ্গী। নতুবা গোঁজামিলের শহরে তিনি হারিয়ে যাবেন সুদীর্ঘ সমালোচনার যানজটে।

Share via
Copy link