ভারতের নিজেদের মাঠে খেলা। নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবুও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজকে ঘিরে গণমাধ্যমের যেন কোনো আগ্রহও নেই।
সিরিজ শুরুর আগে নতুন অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনে দেখা মিলল মাত্র দু’জন সাংবাদিকের। বিষয়টা খোদ সুরিয়াকুমার যাদবের জন্যও অপমানজনক বটে।
গ্রুপ পর্বেই ভারতের ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ১০০ জনের বেশির সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে সেই সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়।
২০০ থেকে সাংবাদিকের সংখ্যা ২-এ নামার কারণ কি? বার্তা সংস্থা পিটিআই ও এএনআইয়ের একজন করে সাংবাদিক ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে কি খোদ ক্রিকেটই জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেছে ভারতে?
সেটা হোক বা না হোক, এটাও একটা রেকর্ড। ধারণা করা হচ্ছে, এত কম সংবাদকর্মী আগে কখনো দেখা যায়নি ভারতীয় কোনো অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনে, সেটাও আবার ভারতের মাটিতে।
আসলে বিশ্বকাপ ফাইনালের মাত্র চারদিন বাদে সিরিজ শুরু বলে বাকি বিশ্বের মত ভারত জুড়েও এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে আগ্রহ কম। বিসিসিআই কিংবা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও (সিএ) নিরুপায়। আইসিসির বাধ্যবাধকতা আছে, করোনাকালে স্থগিত হওয়া এই সিরিজ এখন খেলতে হচ্ছে।
ফরম্যাট বদলালেও লড়াইটা বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্টের মধ্যেই। যদিও, বিশ্বকাপ দলের অনেকেই নেই। অস্ট্রেলিয়া দলের সাতজনের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হলেও, ভারতের হয়ে ফাইনাল খেলা কেবল সুরিয়াকুমারই আছেন এই দলে।
এছাড়া বিশ্বকাপ দলে থাকা মাত্র দুজন খেলবেন এই সিরিজে—উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ঈশান কিষান ও পেসার প্রসিধ কৃষ্ণা। শেষ দু’টি ম্যাচ খেলবেন শ্রেয়াস আইয়ার। এমন সিরিজকে ঘিরে আসলেও খুব বেশি আগ্রহ থাকার কথা নয়।
দু’জন সাংবাদিক দেখে খোদ সুরিয়াও অবাক হয়েছেন। ভারতীয় অধিনায়ককে যেখানে নিয়মিত প্রশ্নবাণে জর্জরিত করার চেষ্টা করা হয়, সেখানে সূর্যকুমারকে সংবাদ সম্মেলনে অস্বস্তিদায়ক কোনো প্রশ্ন করা হয়নি। সুরিয়া আরও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকলেও দুই সাংবাদিকের প্রশ্ন দ্রুতই কমে আসে।
তবে, এর মধ্যে বিশ্বকাপের স্মৃতি ঠিকই উঁকি দিচ্ছে। সুরিয়া বলেন, ‘এটা খুব কঠিন সময়। সহজে এই হারের ধাক্কা কাটাতে পারব না। জানি, নতুন সিরিজ়ে নতুন করে শুরু করতে হয়। আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু বার বার ফাইনালের কথা মাথায় আসছে। যে ভাবে গোটা প্রতিযোগিতায় খেলেছিলাম সেখানে ফাইনাল আমাদের কাছে যেন একটা আতঙ্ক। সেটা কাটিয়ে উঠতে পারছি না কিছুতেই।’