একটুখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস যেন নেওয়ার সুযোগ পেল পাকিস্তান। দলটির পেস ব্যাটারি যে একেবারেই ফুরিয়ে যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার বুকে আবারও কাপন ধরিয়েছেন হারিস রউফরা। সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে দলকে নিয়ে গেছে শাহীন শাহ আফ্রিদিরা।
বরাবরই পাকিস্তান পেসারদের উপর ছিল নির্ভরশীল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পেসারদের পারফরমেন্সের গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী। পাকিস্তানের মাটি পেসারদের ঘাটি বলা হয়। কিন্তু সেই ঘরের মাঠে টেস্ট জিততে স্পিনারদের সহয়তা নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। এমনকি জোর করে উইকেট বানাতে হয়েছে স্পিন সহায়ক। ঠিক এতটাই নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের পেস আক্রমণ।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের পেস ব্যাটারি নব জাগরণের গান শুনিয়ে গেল। অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে তাদেরকেই কাবু করেছে পাকিস্তানের পেসাররা। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা দেখিয়ে দেন পাকিস্তানি পেসাররাই।
তাদের তাণ্ডবে ১৬৩ রানে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে গুটিয়ে যায় অজিরা। চার পেসারই নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সবক’টি উইকেট। এর মধ্যে হারিস রউফ একাই বাগিয়েছিলেন ৫টি উইকেট। ঠিক একই ঘটনার অবতারণা ঘটেছে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও। এবার যেন আরও বেশি আগ্রাসী পাকিস্তানের পেস বোলিং ইউনিট।
মাত্র ১৪০ রানেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন নাসিমরা। এদিন অবশ্য একক আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পাননি চার পেসারের কেউই। প্রত্যেকেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। আফ্রিদি ও নাসিমের পকেটে গিয়েছে তিনটি করে উইকেট। দুইটি পেয়েছেন হারিস রউফ, একটি উইকেট জুটেছে মোহাম্মদ হাসনাইনের কপালে।
তাতে করে যেন একবুক দীর্ঘশ্বাস ফেলেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকেরা। তাদের শঙ্কা যে সত্যি হয়নি। একেবারেই হারিয়ে যায়নি পাকিস্তানের পেস ব্যাটারি। থমকে দাঁড়িয়েছিল বটে। কিন্তু আবার তারা দৌড় শুরু করেছে আপন গতিতে।