আফগানদের বিপক্ষে পাকিস্তানের দাপুটে জয়

শেষ পর্যন্ত তাঁদের উড়িয়ে দিয়েই বড় জয় তুলে নিয়েছে বাবর আজমের দল।

দিনের শুরুটা সবসময় পুরো দিনের কথা বলে না – প্রচলিত এই প্রবাদের বাস্তব উদাহরণ হয়ে রইলো আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেছিল আফগানি স্পিনাররা; এমনকি ম্যাচের ইনিংস বিরতিতেও সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের উড়িয়ে দিয়েই বড় জয় তুলে নিয়েছে বাবর আজমের দল।

টসে জিতে আগ ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবর আজম। তবে মুজিবুর রহমানের স্পিন ভেলকিতে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লের দশ ওভারের মাঝেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে দলটি। তবে ওপেনার ইমাম উল হক এক প্রান্ত আগলে ধরে রাখেন।

ইফতেখার আহমেদ, শাদাব খানদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে পাকিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন এই বামহাতি ব্যাটসম্যান। সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝেও ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি, আর সেটির উপর ভর করে পাকিস্তান কোন রকমের ২০০ এর গন্ডি পেরোয়।

মুজিবুর রহমানের তিন উইকেটের পাশাপাশি রশিদ খান আর মোহাম্মদ নবী শিকার করেন আরো দুই উইকেট। কিন্তু পেসাররা স্পিনারদের মত ততটা ভাল করতে পারেননি; ফলে মনে হয়েছিল পিচ বোধহয় স্পিনবান্ধব।

তবে পাকিস্তান বোলিং শুরু করতেই ভাঙে সেই ধারণা। ১৯৯৬ এর বিশ্বকাপজয়ীদের দুর্দান্ত পেসের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। শাহিন শাহ আফ্রিদি আর নাসিম শাহ এর গতিতে তাসের ঘরের মত ভেঙে যায় দলটির টপ অর্ডার। দ্বিতীয় ওভারেই শাহিনের জোড়া আঘাতে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমত শাহ। পরের ওভারে ফিরে যান হাসমতউল্লাহ শহীদিও।

তবে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছেন হারিস রউফ। একাই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি, অথচ রান দিয়েছেন মাত্র ১৮। শেষমেশ রশিদ খানদের ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছে স্রেফ ৫৯ রানে; সেই সাথে পাকিস্তান জয় পায় ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে।

আফগানিস্তানের হয়ে শুধু রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং আজমতউল্লাহ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছুতে পেরেছিলেন। বাকি সবাই আউট হয়েছে সিঙ্গেল ডিজিটেই; চারজন প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই।

পাকিস্তানের ২০২ রানের টার্গেটে মাত্র ৫৯ রানেই থেমে যায় আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। ১৪২ রানের বড় জয় তুলে এশিয়া কাপের আগে নিজেদের অস্তিত্বের বার্তাই যেন দিলো পাকিস্তান। বিশেষ করে তাঁদের পেসাররা কতটা বিধ্বংসী সেটা আরো একবার দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...