এশিয়া কাপ থেকেই ম্লান শাদাব খান-মোহাম্মদ নওয়াজ স্পিন জুটি। মহাদেশীয় সে আসরের দুঃসহ স্মৃতি পিছনে ফেলে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াবেন এ দুই স্পিনার, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল পাকিস্তানি সমর্থকদের। তবে সে আশায় গুড়েবালি। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে এসে সেই অবস্থানের কোনো বদল ঘটেনি। এখন পর্যন্ত খেলা ৩ ম্যাচে শাদাব-নওয়াজ জুটি নিতে পেরেছে মাত্র ৪ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে তো উইকেটশূন্যই ছিলেন এ দুই স্পিনার।
আর ভারতের বিপক্ষে বড় হারের পরই শাদাব, নওয়াজকে কাঠগড়ায় তুললেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। তাঁর মতে, পাকিস্তানের একাদশে এ দুজনকে একসাথে রাখা মোটেই উচিৎ না। এর স্বপক্ষে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এ পেসার।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বুঝিনা, পাকিস্তান এতো অলরাউন্ডার খেলানোর দিকে ঝুঁকে কেন। শাদাব, নওয়াজকে কখনোই একসাথে খেলানো উচিৎ না। এর জায়গায় আমি উসামা মীরকে একাদশে দেখতে চাই। দলে আসলে এমন স্পিনার প্রয়োজন যে আপনাকে উইকেট এনে দিবে। এখন পাকিস্তানের যা অবস্থা, তাতে পেসাররা ব্যর্থ হলে কোনো স্পিনার সেটা পুষিয়ে দিতে পারছে না।’
ওয়াহাব রিয়াজ উইকেটের গুরুত্ব বিবেচনায় আরো যোগ করে বলেন, ‘ভারতে বিশ্বকাপ জিততে হলে আগে প্রতিপক্ষে সবকটা উইকেট নিতে হবে। নেদারল্যান্ডস ম্যাচ থেকেই যেটা পাকিস্তান করতে পারছে না। আর এটাই প্রতিপক্ষদের জন্য সুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বোলিং দিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে না ধরতে পারলে ৩০০ থেকে ৩৫০ রান প্রতি ম্যাচেই হজম করতে হতে পারে। উইকেট টেকিং বোলার এজন্যই একাদশে বেশি প্রয়োজন।’
ওয়াহাব রিয়াজ অবশ্য ভুল কিছু বলেননি। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অন্তত সেটিই জানান দিচ্ছে। ২০২২ থেকে পাকিস্তানের কোনো স্পিনারই ৩০ এর নিচে বোলিং গড় রাখতে পারেননি। ৩৫ এর নিচে ৩২.১৫ গড় নিয়ে বল করেছেন শুধু একজন; মোহাম্মদ নওয়াজ।
আর সব মিলিয়ে পাকিস্তানি স্পিনারদের এ সময়কালে বোলিং গড় ছিল ৪০.২৬। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১০ দলের মধ্যে যা ৮ম। পাকিস্তানের স্পিনারদের চেয়ে এ সময়কালে বাজে বোলিং গড় রয়েছে দুটি দেশের। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের বোলিং গড় ছিল ৪৪.২৭, আর নেদারল্যান্ডসের স্পিনারদের ছিল ৫৩.৮৮।
সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বড় পরাজয়ে বড় মাশুলই দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ৭ উইকেটের পরাজয়ে ৩ ম্যাচের মধ্যে ২ টি জয় নিয়ে -০.১৩৭ নেট রানরেট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে পাকিস্তান।