দুই ম্যাচে দুই জয়, হট ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নামা পাকিস্তান শুরুটা ভালভাবেই করেছিল। কিন্তু এরপর টানা চার পরাজয়; এতেই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান। যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় জয় কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে; সেই সাথে নতুন করে সেমিফাইনালের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছে কিছুটা।
শাহীন শাহ আফ্রিদিদের বোলিং তান্ডবের পর, ওপেনারদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সাত উইকেটে টাইগারদের উড়িয়ে দিয়েছিল বাবর আজমের দল। ফলে সাত ম্যাচ শেষে এখন তাঁদের ঝুলিতে গিয়েছে মোট ছয় পয়েন্টস। আবার বিশাল ব্যবধানে জেতায় নেট রান রেটেও উন্নতি হয়েছে। সবমিলিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে দলটি।
যদিও উপরের চার দলেরই পয়েন্ট ইতোমধ্যে আট বা তার বেশি। সেজন্যই পরের দুই ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প নেই রিজওয়ানদের জন্য। সেমিফাইনালের কঠিন এই মিশনে ৪ নভেম্বর নিউজিল্যান্ড এবং ১১ নভেম্বর ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তাঁরা।
কিন্তু এই দুই ম্যাচ জয় যথেষ্ট হবে না পাকিস্তানের ক্ষেত্রে; তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি ম্যাচগুলোর দিকেও। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের দিকে নজর রাখতে হবে; এদের কেউ পা হড়কালে তবেই সুযোগ মিলবে এশিয়ান প্রতিনিধিদের।
অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় জয়ে ভারতের পাশাপাশি তাঁরাও নিশ্চিতভাবে সেমিফাইনালে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু সবথেকে বড় ‘উপকার’ হয়েছে পাকিস্তানের। নিউজিল্যান্ড টানা তিন ম্যাচ হেরে যাওয়ায়, পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ হয়ে দাড়িয়েছে ‘ভার্চুয়াল কোয়ার্টার ফাইনাল’।
মজার ব্যাপার, টেবিলের দুই থেকে চার পর্যন্ত অবস্থান করা তিনটি দলেরই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বাকি আছে এখনো। ‘জায়ান্ট কিলার’ হয়ে উঠলেও আফগানদের অন্তত এখনি ভয় পাচ্ছে না প্রোটিয়া কিংবা অজিরা; সেটা বলা যায়। তাই নির্ভার হয়েই খেলতে পারবে, জয়ের পাল্লাও ভারি থাকবে তাঁদের দিকে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আরেকটা ম্যাচ আছে বাংলাদেশের বিপক্ষেও। সাম্প্রতিক সময়ে টাইগারদের যেমন ফর্ম, তাতে অজিরা সহজ জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে। সবমিলিয়ে তাই প্যাট কামিন্সদের জন্য সেমিফাইনালের পথ অতটা কঠিন হওয়ার কথা নয়।
তবু অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে আগ থেকে বলা যায় না কিছুই। সবকিছু আপাতত নির্ভর করছে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট দলের পারফরম্যান্সের ওপরে। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচের ফলাফল জানা গেলেই সেমির সমীকরণ অনেকটাই সাদামাটা হবে – সেই সময় পর্যন্ত তাই অপেক্ষা করা যাক।