মোহাম্মদ রিজওয়ানের অধীনে বড় স্বপ্ন নিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করেছিল পাকিস্তান। তবে সেই স্বপ্ন এক সপ্তাহও স্থায়ী হয়নি, উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পর ভারতের সাথেও বড় পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে তাঁরা। এরই সাথে বাংলাদেশের দুই হার তাঁদের পুরোপুরি ছিটকে দিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে।
রিজওয়ান আসলে নিজের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারেননি, মাঠে ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষায় ছিল না প্রতিরোধের ছিটেফোঁটা। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর দলকে চাঙ্গা করতে পারেননি তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার জোয়ার উঠেছে তাঁকে ঘিরে, ক্রিকেটাঙ্গনে জোর গুঞ্জন উঠেছে তাঁকে সরিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু সেটা কি আসলেই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে?
- দুর্দান্ত পরিসংখ্যান
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভালো যায়নি, তবে পাকিস্তান রিজওয়ানের অধীনে খুব খারাপ করেছে তা কিন্তু নয়। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ওয়ানডেতে অন্তত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দলটা; তাঁর নেতৃত্বেই ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়াকে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে সিরিজ হারিয়েছে পাকিস্তান। এরপর তো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করেছে তাঁরা, মাঝে আবার জিম্বাবুয়েকে তাঁদের মাটিতেই সিরিজ হারিয়েছে। সবমিলিয়ে দুর্দান্ত ফর্ম সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
- ইম্প্যাক্টফুল প্লেয়ারের অভাব
পাকিস্তানের বাজে ফলাফলের মূল কারণ কিন্তু অধিনায়কত্ব নয়। বরং পজিশন অনুযায়ী ইম্প্যাক্টফুল প্লেয়ারের অভাব ভুগিয়েছে তাঁদের। এই যেমন ইনফর্ম সায়িম আইয়ুবকে পাওয়া যায়নি ইনজুরির কারণে, প্রথম ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন ফখর জামান। এছাড়া জাতীয় দলের রাডারে একাধিক বিশেষজ্ঞ স্পিনার ছিল না।
- বিকল্পের অভাব
মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দায়িত্ব থেকে না সরানোর সবচেয়ে বড় যুক্তি এটাই। পাকিস্তান দলে বর্তমানে অধিনায়কত্ব করার মত বড় নাম নেই বললেই। শাহীন শাহ, বাবর আজম দুজনেই অতীতে অধিনায়ক ছিলেন; সেই স্মৃতি ভাল ছিল না। আবার ভরসার করার মত নতুন কেউও নেই। সেজন্য তাড়াহুড়ো করে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং বুঝেশুনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা উচিত টিম ম্যানেজম্যান্টের।