এশিয়া কাপ থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মনোবিদ হিসেবে কাজ করছেন ড. মকবুল বাবরি। বিশ্বকাপ চলাকালীন পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষ্যেই এ মনোবিদের সাথে আরো ৬ সপ্তাহ চুক্তি বাড়িয়েছিল পিসিবি।
আর তার জন্য ২৫ লাখ রূপি গুণতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)। তবে তা এক প্রকার বিফলেই যাচ্ছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে মাঠের ক্রিকেটে পাকিস্তানের দৈন্যদশার সাথে অন্দরমহলেও উঠে এসেছে নানান অস্থিতিশীলতার প্রতিচ্ছবি।
প্রশ্ন এখন উঠতেই পারে, পাকিস্তানের বিশ্বকাপগামী দলটার সাথে মনোবিদ যুক্ত করাটা কি আদৌ ফলপ্রসূ হচ্ছে? এ কারণে সমালোচনার কাঠগড়ায় উঠতে হচ্ছে প্রধান মনোবিদ মকবুল বাবরি। তবে পাকিস্তানের এ মনোবিদ জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটারই তাঁর সেশনে নিয়মিত নন। বাবর আজমরা প্রায়ই নাকি তাঁকে এড়িয়ে চলেন।
জানা গেছে, বিশ্বকাপের শুরু থেকেই বাবর আজমদের জন্য নিয়মিত সেশনের আয়োজন করেছেন মকবুল বাবরি। তবে স্কোয়াডের একজন ক্রিকেটারও সেই সেশনগুলোতে অংশ নেয়নি।
ক্রিকেটারদের মনোবিদের শরণাপন্ন হওয়াটা নতুন কিছু নয়। বিশ্বকাপ সামনে রেখে পাকিস্তান ক্রিকেট দলও হেঁটেছিল এই পথে। তবে ক্রিকেটারদের অনাগ্রহে তা আর আলোর মুখ দেখছে না। মূলত পিসিবি প্রধান জাকা আশরাফের উদ্যোগেই এশিয়া কাপের আগে মনোবিদ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে দলের সঙ্গী হয়ে আছেন মকবুল বাবরি।
এবারের বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে রীতিমত উড়ছিল পাকিস্তান। তবে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ থেকেই। সে ম্যাচে হারের পর আর জয়ের মুখই দেখেনি পাকিস্তান। টানা ৪ হারে একরকম পরাজয়ের বৃত্তেই বন্দী হয়ে আছে বাবর আজমের দল। অনুমিতভাবেই তাই সমালোচনা ধেয়ে আসছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উপর।