কচ্ছপই হতে চান পান্ডিয়া

এক দিনের ক্রিকেটে ব্যাটিংয়টা ঠিকঠাক করতে পারলেও বোলিংয়ে বেশ ভালই বেগ পেতে হচ্ছে হার্দিক পান্ডিয়াকে। তবে ভারতীয় এ অলরাউন্ডার বোলিংয়ে উন্নতির জন্য এগোতে চান কচ্ছপ গতিতে।

২০১৯ সালে অস্ত্রোপচারের জন্য ছুরি কাঁচির নিজে যেতে হয়েছিল ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে। এরপর পেরিয়ে গিয়েছে ৪ বছর। কিন্তু দীর্ঘ এ সময়েও ‘পুরনো’ হার্দিক পান্ডিয়াকে ফিরে পাওয়া যায়নি। এক দিনের ক্রিকেটে তো পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার স্বত্ত্বাই হারাতে বসেছেন তিনি। 

ব্যাটিং করছেন। কিন্তু বোলিংয়ে নিজের ১০ ওভারের কোটা পূরণই করতে পারছেন না৷ তাঁকে বিবেচনা করা হচ্ছে একজন ষষ্ঠ বোলার হিসেবেই। সামনেই ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ সেই টুর্নামেন্টে অলরাউন্ডার পান্ডিয়াকে কি পাওয়া যাবে?

ভারতীয় অলরাউন্ডার অবশ্য আশ্বস্ত করছেন। তিনি এগিয়ে যেতে চান কচ্ছপ গতিতে, খরগোশের গতিতে নয়৷ বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে আরো বেশি ওভার বোলিং করতে হবে বলে মনে করেন ভারতীয় এ অলরাউন্ডার।

এ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, ‘শরীর ঠিক আছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে আমাকে আরও বেশি ওভার বল করতে হবে। এখন আমি কচ্ছপের মতো এগোচ্ছি, খরগোশের মতো নয়। আশা করছি বিশ্বকাপের আগে সব ঠিক হয়ে যাবে।’

ভারতীয় ক্রিকেট দল এই মুহূর্তে রয়েছে ক্যারিবিয়ান সফরে। প্রায় দুই মাস বাদে এই সিরিজ দিয়েই ফিরেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে প্রথম ২ ম্যাচে বলার মতো সফলতা পাননি এ অলরাউন্ডার। প্রথম ওয়ানডেতে শুরুতে বোলিং করেছিলেন। একটি উইকেটও নিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে পাননি কোনো উইকেট। ৬.৪ ওভারে ৩৮ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। 

অবশ্য পুরনো চোটের জন্য পান্ডিয়ার বোলিং করা নিষেধই ছিল। তবে কন্ডিশন ক্যাম্পের পর তিনি নিজেই টিম ম্যানেজমেন্টকে বোলিংয়ে নিয়ে আগ্রহের কথা জানান। তাছাড়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পান্ডিয়া ভালই বোলিং করছিলেন।

কিন্তু সেই ছন্দটা তিনি টেনে আনতে পারছেন না একদিনের ক্রিকেটে। অবশ্য পান্ডিয়া সময় চাচ্ছেন। এখন দেখার পালা, সেই পর্যাপ্ত সময়টা তিনি আদৌ পান কিনা। কারণ, ইনজুরি জর্জর ভারত শিবির বিশ্বকাপের আগে এই মুহূর্তে অনুমিত ভাবেই ঝুঁকি নিতে চাইবে না। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...