কেন বেশি লভ্যাংশ পাচ্ছে ভারত? উত্তর চায় পিসিবি

ক’দিন আগেই ২০২৪-২৭ সময়কালের জন্য আইসিসির আর্থিক মডেল ঘোষণা করা হয়েছে। বিতর্কিত সেই মডেল অনুযায়ী আইসিসির আয়ের ৩৮.৫ শতাংশই পাবে ভারত। যেখানে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান পাচ্ছে মাত্র ৫.৭৫ শতাংশ।

ক’দিন আগেই ২০২৪-২৭ সময়কালের জন্য আইসিসির আর্থিক মডেল ঘোষণা করা হয়েছে। বিতর্কিত সেই মডেল অনুযায়ী আইসিসির আয়ের ৩৮.৫ শতাংশই পাবে ভারত। যেখানে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান পাচ্ছে মাত্র ৫.৭৫ শতাংশ।

স্বভাবতই আইসিসির এই আর্থিক মডেলে খুশি নয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাই আইসিসির কাছে এই মডেলের ব্যাখ্যা চাইবে পিসিবি।

আইসিসিতে বিগ থ্রির দাপট ওপেন সিক্রেট বেশ আগে থেকেই। সাবেক সভাপতি শশান্ক মনোহর আইসিসির এই বিগ থ্রি তত্ত্ব তুলে দেবার চেষ্টা করলেও বিগ থ্রির দাপট যে এখনো আগের মতই আছে তা বোঝা যাচ্ছে এই মডেলে। ভারতের পরেই সবচেয়ে বেশি ভাগ পাবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।

পিসিবি সভাপতি তাই জানালেন এই মডেলের ব্যাখ্যা আইসিসির কাছে চাইবেন তিনি, ‘আমরা আইসিসির কাছে দাবী করছি আমাদের কিভাবে এই হিসেবটা করা হলো তা আমাদের জানাতে হবে। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে আমরা খুশি নই। যতক্ষন না পর্যন্ত আমাদের বিস্তারিত জানানো হচ্ছে ততক্ষণ আমরা এটি বোর্ডে অনুমোদন দেব না।’

শেঠি আরো জানান, জয় শাহর নেতৃত্বাধীন আইসিসির ফিনান্স ও কমার্শিয়াল কমিটি কিভাবে কাজ করে তা ইতোমধ্যেই জানতে চেয়েছেন তিনি। যদিও আগের চেয়ে লভ্যাংশ বেশি পাবে প্রায় প্রতিটা দলই৷ কিন্তু আইসিসির এই মডলে পাকিস্তান ছাড়াও আরো দুটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ খুশি নয় বলেও জানান শেঠি।

গত মার্চে আইসিসির বোর্ড সভায় কাঠামোটি তুলে ধরা হয়। ক্রিকেট ভিত্তিক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, চারটি মানদণ্ড বিবেচনায় বোর্ডগুলির আয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

সেগুলো হলো ক্রিকেট ইতিহাস ও ঐতিহ্য, আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর পুরুষ ও নারীদের আসরে গত ১৬ বছরের পারফরম্যান্স, আইসিসির বাণিজ্যিক আয়ে অবদান এবং আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে সম্মান।

শেঠি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই ভারত বেশি লভ্যাংশ পাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই তালিকাটা কিভাবে তৈরি করা হলো?’

আইসিসির এই মডেল প্রকাশের পরই চারদিক থেকে আসছে সমালোচনার ঝড়। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল আথার্টনও তাঁর লেখা একটি আর্টিকেলে বলেন, এই বিতর্কিত মডেল শুধুমাত্র বিষম্যই তৈরি করবে।

তিনি বলেন, ‘এই বণ্টন ব্যবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে শক্তিশালীরা আরো শক্তিশালী হবে আর তুলনামূলক দুর্বলরা আরো দুর্বল হবে। সেই সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরো কমে যাবে যেটা কারোরই পরিকল্পনা না।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...