রোনালদোর সতীর্থ হবেন পেপে, রামোস?

অনেক গুঞ্জন আর অপেক্ষা শেষে সৌদি আরবের প্রো লিগের ক্লাব আল নাসেরেই যোগ দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকার উপস্থিতি নিশ্চিতভাবেই সৌদি ফুটবলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আরব ক্লাবটিও তেমনটা চায়, বড় অংকের অর্থ খরচ করে তাঁরা একটি শক্তিশালী স্কোয়াড গড়তে চায় যার নেতৃত্বে থাকবেন রোনালদো।

অনেক গুঞ্জন আর অপেক্ষা শেষে সৌদি আরবের প্রো লিগের ক্লাব আল নাসেরেই যোগ দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকার উপস্থিতি নিশ্চিতভাবেই সৌদি ফুটবলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আরব ক্লাবটিও তেমনটা চায়, বড় অংকের অর্থ খরচ করে তাঁরা একটি শক্তিশালী স্কোয়াড গড়তে চায়, যার নেতৃত্বে থাকবেন রোনালদো।

ইতোমধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছে যাওয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এখন প্রস্তুত আল নাসের ক্লাবে নিজের ছাপ ফেলতে। তবে দলটির মালিকদের ইচ্ছে পূরণ করতে আরো কয়েকজন ইউরোপ মাতানো ফুটবলার প্রয়োজন। রোনালদোও তাঁর সতীর্থ হিসেবে পুরনো কয়েকজন বন্ধুদের চেয়েছেন; যাদের মধ্যে ক্লাব ও জাতীয় দলের সতীর্থ পেপে একজন।

পর্তুগাল এবং রিয়াল মাদ্রিদে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে লম্বা সময় মাঠে নেমেছিলেন ডিফেন্ডার পেপে। বর্তমানে পোর্তোর হয়ে খেলছেন তিনি। পোর্তো প্রেসিডেন্ট এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি; পেপে যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ এই ক্লাবে থাকতে পারবেন বলে ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। আর এই তারকার দিকেই নজর দিয়েছে আল নাসের ক্লাব।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর পেপে – দুইজন খেলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন পজিশনে। তবু তাদের মধ্যে রয়েছে চমৎকার বোঝাপড়া। একসাথে অনেক লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিলেন তাঁরা দুইজন। লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হয়ে খেলার সময় রোনালদোকে মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেক সাহায্য করেছিলেন পেপে।

আবার পর্তুগিজ জাতীয় দলে গত দেড় দশক ধরে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং পেপে। একটা সময় তো কেবল এই দুইজনেই ছিলেন পর্তুগালের মূল তারকা। এছাড়া গত বিশ্বকাপে রোনালদোর বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন দুই ম্যাচে। সেগুলোর একটিতে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সুপারস্টারকে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে আর্মব্যান্ড খুলে স্ট্রাইকারকে দিতে দ্বিধা করেননি পেপে। সব মিলিয়ে বলা যায়, এই দুইজন বন্ধু কিংবা সতীর্থের চেয়ে বেশি কিছু।

চলমান গুঞ্জন সত্যি হলে নতুন পরিচয়ে আবারো ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করবেন ক্রিশ্চিয়ানো এবং পেপে। এটা মেনে নিতেই হবে যে, তাঁরা দুইজনেই এমনটা উপভোগ করবেন।

আর কিছুদিন পরেই নিজের চল্লিশতম জন্মদিন পালন করবেন পেপে; এই বয়সে অধিকাংশ ফুটবলারই বেছে নিয়েছেন অবসরের পথ। অথচ পেপে এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ইউরোপীয় ফুটবলে। কাতার বিশ্বকাপে যেভাবে পারফর্ম করেছেন এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার, তাতে বোঝা যায় আরো কয়েকটা বছর দিব্যি রাজ করতে পারবেন তিনি। তাই তো পোর্তোর এই রক্ষণ সেনানীকে নিজেদের ডেরায় নিয়ে আসতে চায় আল নাসের।

উচ্চ বিলাসী আরব ক্লাবটি অবশ্য এখানেই থামতে চায় না। তাদের দৃষ্টি পৌঁছে গিয়েছে আরো দূরে; পেপে ছাড়াও ইউরোপীয়ান ফুটবলের আরো কয়েকজন তারকাকে নিজেদের করে নিতে চায় দলটি। এদের মধ্যে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ক্যাপ্টেন সার্জিও রামোস, দলটির বর্তমান খেলোয়াড় লুকা মদ্রিচ এবং ইডেন হ্যাজার্ড। গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সময়েই রামোস আর হ্যাজার্ডের দিকে হাত বাড়াতে পারে আল নাসের; আর ক্রোয়াট মিডফিল্ডারের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তাঁরা।

অনেক কিংবদন্তি ফুটবলারই ক্যারিয়ারের শেষ দিকে খেলেছেন ইউরোপের বাইরে; কেউ লাতিন আমেরিকায়, কেউ কাতারে, কেউবা খেলেছেন আমেরিকার এমএলএসেও। কিন্তু সৌদি আরবে এসে খেলার সিদ্ধান্ত নেননি তেমন কেউই। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর যোগ দেয়ার পর বদলে গিয়েছে চিত্রপট। অনেকেই এখন সৌদি আরবে আসতে চাইবে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার জন্য, আর বড় অংকের পারিশ্রমিকও আছেই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...