ভারতীয় বোলারদের টেস্ট কাব্য

ভারতের ব্যাটিং নিয়ে কাব্য করা হয় সবসময়ই। একেরপর এক ব্যাটিং গ্রেটকে ক্রিকেট বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এই দেশটি। বিরাট কোহলি কিংবা রোহিত শর্মাদের ব্যাটে চড়েই তো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত। টেস্ট ক্রিকেটে এই মুহুর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। তবে এর কৃতিত্ব কী শুধু ভারতের ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটসম্যানদের অনন্য গাঁথায় চাপা পড়ে যায় দেশটির বোলারদের নানা কীর্তি।

ভারতের ব্যাটিং নিয়ে কাব্য করা হয় সবসময়ই। একেরপর এক ব্যাটিং গ্রেটকে ক্রিকেট বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এই দেশটি। বিরাট কোহলি কিংবা রোহিত শর্মাদের ব্যাটে চড়েই তো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত। টেস্ট ক্রিকেটে এই মুহুর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। তবে এর কৃতিত্ব কী শুধু ভারতের ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটসম্যানদের অনন্য গাঁথায় চাপা পড়ে যায় দেশটির বোলারদের নানা কীর্তি।

এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও অসাধারণ কিছু বোলিং ফিগার দেখা গিয়েছে ভারতীয় বোলারদের কাছ থেকে। বুমরাহ কিংবা অশ্বিন থেকে শুরু করে তরুণ মোহম্মদ সিরাজ কিংবা শার্দু ঠাকুররাও নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের প্রথম সারির পেসাররা ইনজুরিতে পড়লে তরুণ বোলাররা তা সামাল দিয়েছেন কৃতিত্বের সাথে। সবমিলিয়ে ব্যাটসম্যানদের উর্বর ভূমি ভারতে বোলারদের সাফল্যও কম নয়। তাই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় বোলারদের সেরা বোলিং ফিগার গুলো নিয়েই আজকের আয়োজন।

  • জাসপ্রিত বুমরাহ

২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন শিপের শুরুর দিকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অসাধারণ এক বোলিং পারফর্মেন্স দেখান এই পেসার। জ্যামাইকায় সেই টেস্টে একাই ধ্বসিয়ে দেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপ।

সেই ইনিংসে ভারতের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্ট হ্যাটট্রিকও করেন এই পেসার। অসাধারণ পেস ও স্যুইং দিয়ে রীতিমত অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠেন বুমরাহ। সবমিলিয়ে মাত্র ২৭ রান দিয়ে তুলে নেন ছয় উইকেট। বুমরাহর এই বোলিং কীর্তির পর সেই ম্যাচে ২৫৭ রানের জয় পায় ভারত।

  • মোহম্মদ শামি

ভারতের পেস বোলিং ইউনিটের আরেক কান্ডারি মোহম্মদ শামি। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে শামির বোলিং যেনো আরো ধারালো হয়ে উঠে। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৪ রানের টার্গেট দেয় ভারত। ভারত মূলত তাঁদের দুই স্পিনার আশ্বিন ও জাদেজার উপরই ভরসা করে ছিল। তবে আবারো দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের কার্যকারিতার প্রমাণ দেন মোহম্মদ শামি।

তাঁর রিভার্স স্যুইং এ টালমাটাল হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস সহ মাত্র ৩৫ রান দিয়ে আফ্রিকার ৫ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। শামির বোলিং তোপে ভারতের দেয়া টার্গেট যেনো পাহাড়সম হয়ে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। শেষ পর্যন্ত ২০৩ রানের সহজ জয় পায় ভারত।

  • রবিচন্দন অশ্বিন

ভারত তো বটেই এই মুহুর্তে টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা স্পিনারদের একজন রবিচন্দন অশ্বিন। এই বছর অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মোট ৭ টেস্টে ১৮.৫৬ গড়ে ৪৪ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। এরমধ্যে তিনবার ৫ উইকেট ও নিয়েছেন এই বোলার। তবে বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচে তাঁর বোলিং ছিল ভীষণ কার্যকর।

ম্যাচের প্রথম দিন সকালেই ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। স্টিভ স্মিথ কে শূন্য রানে ফিয়ে ম্যাচের শুরুতেই ভারতকে এগিয়ে দেন এই স্পিনার। পরে ভারত সেই ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতেছিল।

  • অক্ষর প্যাটেল

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে স্বপ্নের মত নিজের টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরু করেছেন এই তরুণ। বাঁ-হাতি এই স্পিনার তিন টি টেস্ট খেলে মাত্র ১০.৫৯ গড়ে তুলে নিয়েছেন ২৭ উইকেট। তবে অক্ষর তাঁর সেরাটা তুলে রেখেছিলেন আহমাবাদের পিংক বল টেস্টের জন্য। সেই ম্যাচে ৭০ রান দিয়ে ইংল্যান্ডের ১১ উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। প্রথম ইনিংসে ৩৮ রান দিয়ে তুলে নেন ছয় উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৩২ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। তাঁর এই বোলিং এ মাত্র দুইদিনেই টেস্টে জয় তুলে নেয় ভারত।

  • মোহম্মদ সিরাজ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গাব্বায় এক ইতিহাস লিখেছিল ভারত। ঋষাভ পান্তের অপরাজিত ৮৯, শুভনম গিলের ৯১ ও চেতেশ্বর পূজারার ঐতিহাসিক ২১১ বলে ৫৬ রানের সেই ইনিংস গুলো ভারতের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফর্মেন্স। এই ইনিংস গুলো তে চড়েই সেই ম্যাচে জয় পেয়েছিল ভারত।

তবে সেই জয়ের ভীত গড়ে দিয়েছিল মোহম্মদ সিরাজের বোলিং। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই বোলার। এছাড়া শারদুল ঠাকুর ও সেই ম্যাচে ৬১ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...