ইমরুলসহ করোনা আক্রান্ত পাঁচ

গতকাল দ্বিতীয় দফায় ৩৩১ জনের পরীক্ষা করা হয়। সেখানে কয়েক জনের পজেটিভ আসলে তাদের করোনা টেস্টের জন্য আবার নমুনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী খেলা ৭১ - কে জানিয়েছেন সেই রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না তারা আসলেই করোনা পজেটিভ কিনা।

আর মাত্র এক দিন পরই শুরু হচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে ক্রিকেটার, কোচিং প্যানেলের সদস্য ও সাপোর্ট স্টাফারের সদস্যদের। আর সেই পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হয়েছেন পাঁচ জন ক্রিকেটার। এর মধ্যে আছেন ইমরুল কায়েসও।

গতকাল দ্বিতীয় দফায় ৩৩১ জনের পরীক্ষা করা হয়। সেখানে কয়েক জনের পজেটিভ আসলে তাদের করোনা টেস্টের জন্য আবার নমুনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী খেলা ৭১ – কে জানিয়েছেন সেই রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না তারা আসলেই করোনা পজেটিভ কিনা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের গতকাল ৩৩১ জনের টেস্ট হয়েছে। এর ভিতর কিছু পজেটিভ এসেছে। আমাদের নিয়ম হচ্ছে যাদের পজেটিভ এসেছে ২৪ ঘন্টার ভিতর তাদের আবার টেস্ট করবো। ওদের আবার টেস্ট হচ্ছে। আজকে রাতে যে রিপোর্ট পাবো সেটাই হবে অফিসিয়াল রিপোর্ট। তখন আমরা আপনাদেরকে জানাবো, এখনই বলা যাচ্ছে না ওরা পজেটিভ।’

শোনা যাচ্ছে করোনা পজেটিভ হয়েছেন ইমরুল কায়েস ও তুষার ইমরান। এর আগে গত ২৬ মে প্রথম দফায় করোনা টেস্ট করা হয় ২৬৯ জন ক্রিকেটারকে। সেই টেস্টে করোনা পজেটিভ হন সাত জন ক্রিকেটার ও দুই জন কর্মকর্তা। তবে পরের টেস্টেই আবার নেগেটিভ হন তারা।

তাই বিসিবির এই চিকিৎসক জানিয়েছেন একবার টেস্ট করেই নিশ্চিত হওয়া যাবে না যে ওরা করোনা পজেটিভ। তাই তিনি চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন। তিনি মনে করেন এখন যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে এটার কোন মূল্য নেই।

তিনি বলেন, ‘এখন রাতের টেস্টে নেগেটিভ আসলে আপনি কি বলবেন তখন। আমার মনে হচ্ছে এটার কোন মূল্য নেই। দেখেন প্রথম টেস্টে কিন্তু কয়েক জনের পজেটিভ আসছিল। পরের টেস্টে কিন্তু ওরা নেগেটিভ হয়ে গেছে। তাহলে শুধু শুধু ওদের বিব্রত করে লাভ কি। আমরা দ্বিতীয় রিপোর্টটা আপনাদের জানাবো আর কি।’

দুই দফায় যারা নেগেটিভ হবে তাদের চারটি হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা হবে। হোটেল গুলো হলো আমারি, ওয়েস্টিন, ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল। আন্তর্জাতিক সিরিজ গুলোর মতোই জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হবে তাঁদের জন্য।

গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২২তম আসর। কিন্তু এনসিএলের প্রথম রাউন্ড ভালো ভাবে শেষ হলেও দ্বিতীয় রাউন্ড শুরুর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছিলেন নয় জন ক্রিকেটার। এরপর বাধ্য হয়েই এনসিএল স্থগিত করে বিসিবি। তাই ডিপিএল নিয়ে শুরু থেকেই সতর্ক আয়োজকরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...