কোথায় হবে এশিয়া কাপ?

নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকে এশিয়া কাপের সম্ভাব্য আয়োজকের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের এশিয়া কাপ নিয়ে নাটকীয়তা তুঙ্গে উঠেছিল, আর সেটার মূল কারণ ছিল ভেন্যু। পাকিস্তান স্বাগতিক হলেও ভারত সেখানে যেতে আপত্তি জানায়, ফলে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এমন পরিস্থিতি ভবিষ্যতে যেন পুনরায় দেখতে না হয় সেজন্য এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।

নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকে এশিয়া কাপের সম্ভাব্য আয়োজকের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগামী বছরগুলোতে তাঁরা মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবে না। আপাতত তাই বাকি চার দেশের মধ্যে বেছে নিতে হবে স্বাগতিক দলকে – এই চারটি দেশ হলো বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান।

গত বছর ভারত পাকিস্তান ভ্রমণ না করায় হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফলে বাড়তি খরচ যেমন হয়েছে আয়োজকদের, তেমনি অংশগ্রহণকারী দলগুলোকেও ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। এসিসির নতুন এই সিদ্ধান্ত তাই যৌক্তিক বলা চলে।

এছাড়া মিডিয়া রাইটসের ব্যাপারেও পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি। ভারতীয় একাধিক ব্রডকাস্টিং কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করার পর আগামী মাসের মধ্যে মিডিয়া রাইটসের নিলাম আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। আপাতত চার বছর ও আট বছর মেয়াদি দুইটি ভিন্ন প্যাকেজের প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।

যদিও ব্রডকাস্টাররা আট বছরের জন্য চুক্তি করতেই বেশি আগ্রহী। এই প্যাকেজের অংশ হিসেবে মোট চারটি টুর্নামেন্ট প্রদর্শন করতে পারবে তাঁরা। এর মধ্যে দুইটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এবং দুইটি ওয়ানডে ফরম্যাটে আয়োজিত হবে।

অতীতে চারটি আসরের জন্য মিডিয়া রাইটসের মূল্য প্রায় আট কোটি ডলার ছিল। তবে এবার অর্থের পরিমাণ বাড়বে এমন আশা করছে এসিসি। কেননা প্রতি আসরে দুই থেকে তিনটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এশিয়া কাপের আবেদন বাড়িয়ে তুলেছে অনেকটাই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...