কেন জানি মনে হয় তামিম ইকবাল তাঁর স্যুইটেবল একটা রোল পাচ্ছেন লাহোর কালান্দার্সে!
দুই ম্যাচেই তামিম আহামরি রান করেননি। কিন্তু এই ‘হিট অ্যান্ড গো’ রোলটায় তামিমকে মানিয়েছে ভালো। দুই ম্যাচ ধরে হিসাব করলে ৩০ বল খেলে এখন পর্যন্ত ৪ ৮ টা রান তুলেছেন তিনি।
এখানে তামিমের অনেক অনেক শেখার আছে। স্পেশালি মোহাম্মদ হাফিজের কাছ থেকে, এই হাফিজ লোকটা এখন ৪০ ছুঁই ছুঁই, মানে এই সেদিনও বাংলাদেশের সাথে দুইটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেখিয়েছে হোয়াট ইজ স্কোর বিল্ডিং উইথ পেশেন্স অ্যান্ড বিউটিফুল ব্যাটিং। কোনো আনঅর্থডক্স শট ছাড়াই।
১৩০-৪০ স্ট্রাইক রেট রাখতে শহীদ আফ্রিদি হইতে হয় না, হাফিজ, হাসি, ডু প্লেসিস, উইলিয়ামসন – এদের ব্যাটিং ব্যাকরণ বলে কঠিন বলে এক রান আর সহজ বলে চার-ছয়ের একটা সাবলীল চেষ্টাই আপনাকে নির্ভার করে দিতে পারে। সবচে কঠিন ওভারেও আপনার পাঁচটা রান আসবে।
আমি নিশ্চিত সমালোচক, সমালোচনা আর এসব নাম্বারস গেমের চেয়েও সে তার খেলা নিয়ে বেশি ভাবে এবং কখনো কখনো বেশি ভাবাটা কাল হয়ে দাঁড়ায়।
তামিম যদি তামিমীয় এই রোলে থাকে এতে লং হ্যান্ডেলে বাংলাদেশ দলেরও লাভ আছে। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশেষত, যেখানে সাকিব-মুশি-রিয়াদ আছে যারা অন্তত ২০ টা ওভার উইকেটে থাকতে পারে, সেখানে আসলে স্লো খেলার মানে হয় না। যদি সেটা আরোপিত হয়।
ভাবাটা কাল হয়ে দাঁড়ায় বললাম কেন, আমার মনেই হয় তামিম অনেক বেশি পড়েন, এবং সে তাঁর সমালোচকদের জবাব দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এখানে যেটা হয় নিজের খেলাটা থাকে না। জবাব দেয়ার জন্য এক ম্যাচ ‘ওকে’ দুই ম্যাচ ঠিক আছে কিন্তু এই জবাবের আসলে শেষ নাই। দিনশেষে তামিম একজন ভালো ব্যাটসম্যান, তার মানসিক লড়াইটা নিজের সাথে হওয়াটাই ভালো, নট দ্যাট যে কয়েকজন সমালোচক কী বললো সেটার জন্য আমি ৩০ গড় রেখে খেলে যাবো।
তবে তামিমের মোর দ্যান ৩০ হওয়ার তো বটেই, মোর দ্যান ৭০-৮০ স্ট্রাইক রেটেড ব্যাটসম্যান হওয়ারও সব ধরনের ইকুইপমেন্ট আছে।
এইতো স্মরণকালেই তামিম বিপিএলের এক ফাইনালে যে সেঞ্চুরি মারলেন সেটাও একটা উদাহরণ হতে পারে।
গত দুই ম্যাচের তামিম যদি ভারতের মাটিতে দুইটা বিশ্বকাপে খ্যালে তাইলে দলে একটা বিশাল বুস্ট আসে। ভারতের সাথে ২০০৭ বিশ্বকাপের ম্যাচে যেই তামিম ইকবাল ছিল, ম্যানচেস্টার, লর্ডসে যেই তামিম ইকবাল ছিল আর কী।