ওয়ানডে বিশ্বকাপে কেন উইলিয়ামসনের ইনজুরির কারণে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। এরপর উইলিয়ামসনের অভাবই বুঝতে দেননি তিনি, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছেন বিশ্ব মঞ্চে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে আইপিএলে, ডেভন কনওয়ের অনুপস্থিতিতে চেন্নাই সুপার কিংসের ভরসা হয়ে উঠেছেন এই তরুণ।
গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে মাত্র ২০ বলে ৪৬ রান করেছেন তিনি। ছয় চার আর তিন ছয়ে সাজানো ইনিংসে তাঁর স্ট্রাইক রেট স্বাভাবিকভাবেই আকাশ ছুঁয়েছে; সংখ্যার হিসেবে সেটা ২৩০! ওপেনিং করতে নেমে পাওয়ার প্লের পূর্ণ ফায়দা আদায় করেছেন, তাতে দলও পেয়েছে বড় সংগ্রহের ভিত্তি।
এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন কিউই তারকা। প্রথম পাঁচ ওভারেই ১৮ বল মোকাবিলা করেন তিনি; ততক্ষণে নামের পাশে যোগ করেছেন ৪২ রান। দুর্দান্ত সব শট খেলেছেন; কখনো কভার, কখনো লং অনের উপর দিয়ে বাউন্ডারি খুঁজে নিয়েছে তাঁর ব্যাট।
দলীয় ৬২ রানে আউট হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু নিজের দায়িত্ব পালন করে তবে মাঠ ছেড়েছেন এই বাঁ-হাতি। অভিজ্ঞ কনওয়ের জায়গায় কেন তাঁর উপর আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট সেটার উত্তর দিলেন তিনি।
এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষেও জ্বলে উঠতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। স্রেফ ১৫ বল খেলে সেদিন ৩৭ রান করেছিলেন এই উদীয়মান তারকা। সমান তিনটি চার ও ছক্কায় রান তাড়ার কঠিন কাজটা তাঁর ক্যামিওতেই সহজ হয়ে গিয়েছিল।
একটা ব্যাপার তাই স্পষ্ট, রাচিন রবীন্দ্রের কাছে চেন্নাই উড়ন্ত সূচনা চায়। তিনি নিজেও দলের স্বার্থ পূরণ করতে শতভাগ দিয়ে যাচ্ছেন; ইতোমধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। আইপিএলের অভিষেক মৌসুমেই যেভাবে ভয়ডরহীন মানসিকতায় বোলারদের শাসন করছেন সেটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাটুকু দেখতে চাইবে সমর্থেকরা। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপে। সেবার দশ ম্যাচ খেলে ৫৭৮ রান করেছিলেন তিনি, হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সেই শুরু, এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে – কেবলই সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন।