বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্বান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বিশ শতাংশ বাড়ানোর অনুমোদনও দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। শুধুমাত্র বেতন ও ম্যাচ ফি নয়; বাড়ানো হয়েছে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের সংখ্যাও।
গত বছর বোর্ডের চুক্তিতে ছিলো ২০ জন নারী ক্রিকেটার। কিন্তু চলতি বছরের চুক্তিতে আরো চার জনকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে এখন চুক্তিবদ্ধ নারী ক্রিকেটার ২৪ জন। আগের চুক্তিতে চার ক্যাটাগরিতে বেতন পেতেন নারী ক্রিকেটাররা। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে বেতন ছিল ৫০ হাজার, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩০ হাজার ও ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার।
২০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ফলে এখন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে বেতন হবে ৬০ হাজার, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩০ হাজার ও ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার। আগে ওয়ানডেতে ম্যাচ ফি ছিল মাত্র ১০০ ডলার ও টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ ফি ছিল ৭৫ ডলার। এখন ওয়ানডেতে ম্যাচ ফি করা হয়েছে ৩০০ ডলার ও টি-টোয়েন্টিতে করা হয়েছে ১৫০ ডলার।
এই সব বিষয় খেলা ৭১ – কে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি জানিয়েছেন চলতি মাস থেকেই নারী দলের ক্রিকেটাররা নতুন স্কেলে বেতন পাবেন এবং নারী দলের পরবর্তী ম্যাচ থেকেই নতুন ম্যাচ ফি কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা নারী ক্রিকেটারদের বেতন ২০ শতাংশ বাড়িয়েছি এবং তারা এই মাস (জুলাই) থেকে নতুন বেতন স্কেলে বেতন পাবে। ওদের পরবর্তী ম্যাচ থেকে নতুন ম্যাচ ফিও কার্যকর হবে। এর আগে ওরা ম্যাচ ফি পেত ওয়ানডেতে ১০০ ডলার ও টি-টোয়েন্টিতে ৭৫ ডলার। এখন পাবে ৩০০ ডলার আর ১৫০ ডলার।’
দুই বছর আগে মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতন পেতেন নারী ক্রিকেটাররা। এছাড়া নারী ক্রিকেটারদের অন্যন্য সুযোগ সুবিধাও ছিল সীমিত। ২০১৯ সালের অক্টোবরে পুরুষ ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দাবি নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। তাদের ১৩ দফা দাবি গুলোর ভিতর একটা ছিল নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানো।
এরপর একবার বেতন বাড়ানো হয়েছিল। প্রথম দফায় বাড়ানোর পর সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা বেতন পেতেন কয়েক জন ক্রিকেটার। আর চলতি বছর দ্বিতীয় দফায় বেতন বাড়ানোর পর সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন কয়েক জন ক্রিকেটার এবং সর্বনিম্ন বেতন ২০ হাজার।