টানা দুই বল করলেন স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প, ব্যাটার জিসান আলী হাত খোলার জায়গা পাননি। পরের বলটা একটু বাইরে করতেই ফাঁদে পা দিলেন তিনি, ড্রাইভ করে বসলেন।
হালকা সিম মুভমেন্টের কারণে ব্যাটে চুমু এঁকে বল জমা পড়লো আকবর আলীর গ্লাভসে – একেবারে পরিকল্পনা করে আউট করা যাকে বলে। রিপন মন্ডলের বোলিং পারফরম্যান্সের সবচেয়ে বড় হাইলাইটস হয়ে রইলো এটি।
ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ এ দলের মূল পেসারদের একজন তিনি, ইনিংসের শুরুটা তাই তাঁকে দিয়েই করেছেন অধিনায়ক আকবর আলী।
প্রথম ওভারে উইকেট না পেলেও আঁটসাঁট বোলিংয়ে হংকংয়ের ওপেনারদের স্থিত হতে দেননি। খরচ করেছিলেন স্রেফ এক রান!
পরের ওভারে ফিরেই তো জিসান আলীকে আউট করলেন, এক বল পরেই আবার আউট করেছেন আরেক ওপেনার আনশুমান রাথকে। উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়েই আউট হয়েছেন তিনি, তবে এবারের ডেলিভারি ছিল বাউন্সার, কাটশট খেলতে গিয়ে এজড হন। সেই ওভারে মাত্র দুই রান এসেছিল।
এদিন বাউন্স, পেস, মুভমেন্ট সবই দেখা গিয়েছে টাইগার পেসারের প্রথম স্পেলে। টানা তিন ওভার বল করেছেন, আর তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ৩-০-১৩-২! তৃতীয় ওভারে ভাগ্য সহায় হলে অবশ্য আরেকটু বিধ্বংসী দেখাতো এই ফিগার।
লম্বা বিরতি কাটিয়ে আঠারোতম ওভারে পুনরায় বোলিংয়ে আসেন রিপন; প্রথম বলে মার্টিন কোয়েটজি চার হাঁকান, সেটা বোধহয় তাতিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। পরের দুই বলে তিনি ফেরান কোয়েটজি আর নাসরুল্লাহ রানাকে। যদিও পঞ্চম বলে ছক্কা হজম করায় আনন্দে ভাটা পড়ে কিছুটা।
তবু চার ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে চার উইকেট যেকোনো বিচারে দুর্দান্ত। যেখানে তুলনামূলক অভিজ্ঞ আবু হায়দার রনি আর রেজাউর রাজা আট ওভারে দিয়েছেন ৭৯ রান, পেয়েছেন দুই উইকেট; সেখানে তাঁর এমন ইকোনমিক্যাল বোলিং এবং ব্রেক থ্রু এনে দেয়াটা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
এর আগে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এই তরুণ মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন, পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পরীক্ষাতেও তাই তাঁকে লেটার মার্কস দেয়া যায়।