আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে, বাদ পড়েন পরের ম্যাচেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টিম কম্বিনেশনের কারণে তাঁকে দলে রাখা হয়নি।
তবে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও ফেরার সম্ভাবনা আছে তাঁর। কিন্তু, প্রশ্ন হল বাদ পড়বেন কে? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খরুচে বোলিং করলেও চার উইকেট নিয়েছিলেন শেখ মেহেদী হাসান। তিনিই কি চলে যাবেন একাদশের বাইরে? নাকি অন্য কেউ? – এমন নানা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
এখানে বড় একটা ভূমিকা আছে চেন্নাইয়ের উইকেটের। উইকেটটা ভারতের অন্য যেকোন জায়গার থেকে স্লো। বিশেষ করে ধর্মশালার থেকে তো বটেই। আর এমন উইকেটে টিকে থেকে রান তুলতে জানেন রিয়াদ। ফলে, তাঁর ওপর ভরসা করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সেক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে ওপেনিং জুটিতে। বাদ পড়বেন তানজিদ হাসান তামিম। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে মাত্র ছয় রান করেছেন তিনি। ছয় ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রান মাত্র ৪০। কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে যদিও তাঁর ওপর ভরসা রাখার কথা বলেছেন – তবে উইকেট ও টিম কম্বিনেশন বিবেচনায় একাদশে এবার ঠাই নাও হতে পারে এই ওপেনারের।
তানজিদ তামিম না খেললে লিটন দাসের সাথে ওপেন করতে নামবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের জন্য ওপেনিং নতুন কিছু নয়। এশিয়া কাপে ইনিংসের শুরুতে নেমে সেঞ্চুরিও করেন এই অলরাউন্ডার। আর বিশ্বকাপজুড়েই তাঁকে নানা পজিশনে খেলানোর ভাবনা আছে দলের।
সেক্ষেত্রে, সাত নম্বরে রিয়াদকেই রাখা হবে একাদশে। আর কোনো বিকল্প আক্ষরিক অর্থেই নেই এখানে। তিন থেকে ছয় নম্বরে থাকবেন – নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। বোলিং আক্রমণটা আগের ম্যাচের মতই থাকছে – তিন স্পিনার ও তিন পেসার। তবে, স্পিনিং ট্র্যাক কাজে লাগানোর পরিকল্পনা থাকলে আরেকজন স্পিনারও আসতে পারেন একাদশে।
কোনো একজন পেসারকে বসিয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হতে পারে নাসুম আহমেদের। শেষের দিকে তাঁর ব্যাটিংটাও আজকাল বেশ মারকুটে। আগের ম্যাচে মেহেদীর উইকেটের সংখ্যা আরেকটু কম থাকলে একাদশের লড়াইয়ে নাসুমই এবার এগিয়ে থাকতেন।
তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ডিউ ফ্যাক্টর থাকবে। আর শিশিরে স্পিনারদের জন্য বল গ্রিপ করা খুব শক্ত। ফলে, বোলিং আক্রমণের পরিবর্তন আনলে একটা ঝুঁকি থেকে যায়। তবে, এটা ঠিক যে উইকেট যদি স্পিন সহায়ক হয়, তাহলে আবারও যথারীতি টস জিতে বোলিংই নিবেন অধিনায়ক সাকিব।