Social Media

Light
Dark

রিজওয়ানের পিন্ডি বিলাস

সবগুলো সেঞ্চুরিই তিনি করেছেন ঘরের মাঠে। সাধারণত পাকিস্তানের উইকেট হয় ব্যাটিং সহায়ক। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেই তিনখানা শতক এসেছে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তাতে করে চাইলেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় লাল বলে রিজওয়ানের ব্যাটিং দক্ষতাকে। 

ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি মোহাম্মদ রিজওয়ান বহুবারই ধারাবাহিকতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু লাল বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক রিজওয়ানের খুব একটা দেখা মেলে না। অবশ্য খুব বেশি টেস্ট ম্যাচ তিনি খেলেছেন সেটা বলবারও উপায় নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে নিজের ৩১ তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন রিজওয়ান।

আর সে টেস্ট ম্যাচ দিয়েই নিজের ব্যাটের ঝলক দেখাতে চাইলেন। বাংলাদেশের বোলারদের যথাযথ সমীহ করেই তিনি তুলে নেন সেঞ্চুরি। চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে, এটিই ছিল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি তিনি পেয়েছিলেন এই রাওয়ালপিন্ডিতেই। এরপর করাচিতে এসেছিল শতক।

সবগুলো সেঞ্চুরিই তিনি করেছেন ঘরের মাঠে। সাধারণত পাকিস্তানের উইকেট হয় ব্যাটিং সহায়ক। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেই তিনখানা শতক এসেছে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তাতে করে চাইলেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় লাল বলে রিজওয়ানের ব্যাটিং দক্ষতাকে।

তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষতার নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেননি তিনি। বেশ দেখেশুনেই ব্যাট চালিয়েছেন। বড় শট খেলেছেন। অবশ্য প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুর সময়টুকু বাদ দিলে, উইকেট ব্যাটারদেরই সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের বোলাররাও কঠিন কোন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটারদের।

তবুও রিজওয়ানের সেঞ্চুরিকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৮ রান এসেছিল রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। রানের ধারাতেই ছিলেন তিনি। তবে তিন অংকটা ছোঁয়া হয়ে ওঠেনি তার। প্রায় ১৮ ইনিংস পর তিনি সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।

সেই ২০২২ সালে রিজওয়ান করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। যেহেতু উইকেট কিংবা বাংলাদেশি বোলাররা তাকে ঠিকঠাক চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি, সেহেতু তিনি আপন ধ্যানে ব্যাট চালিয়ে গেছেন। নিজের ইনিংসকে ক্রমাগত বড় করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

Share via
Copy link