যে কারণে ভয় পাচ্ছেন রোহিত

বিশ্বের যেখানেই যাক না কেন, ভারতীয় দলের জন্য সমর্থনের কোনো অভাব কখনওই হয় না। সেটা দূর দূরান্তের কোনো দেশে বিশ্বকাপ হলেও গ্যালারিতে থাকে ভারতীয় দর্শকদের আধিক্য। অনেকটা হোম কন্ডিশনেই তাই খেলার সুযোগ পায় ভারতীয় দল।

যদিও, বাংলাদেশ সফরে আসলে সেই সুযোগটা কম। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যখন প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ – সেখানে রোহিত শর্মার দলের পক্ষে সমর্থন যে থাকবে প্রায় শূন্যের কোটায় সেটা বলাই বাহুল্য।

এই বাস্তবতা রোহিত নিজেও জানেন। এটা তাঁর জন্য একটা ভয়ের কারণও বটে। তিনি সিরিজের প্রথম ওয়ানডের আগে মিরপুরে বসে বলেন, ‘এখানে গ্যালারিতে বেশি সমর্থন পাব না। গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের জন্য ভারত কিছুটা চাপে থাকবে। এখানের দর্শক উপস্থিতি ভীতি জাগানিয়া হতে পারে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তারা ক্রিকেটের আবেগময় সমর্থক এবং সবসময় দলের পাশে থাকে। দলের জন্য এটা রোমাঞ্চকর।’

তবে, বাংলাদেশের বিপক্ষে দর্শকদের এই চাপ জয় করতে প্রস্তুত রোহিত শর্মার দল। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের ছেলেদের ওপর তেমন প্রভাব ফেলবে না। তারা চাপের মধ্যে অনেক দর্শকের সামনে খেলতে অভ্যস্ত। এসব চ্যালেঞ্জ সামলে খেলতে পারে। তাই আমার মনে হয় না, এটি বড় কোনো পার্থক্য তৈরি করতে পারে।’

সর্বশেষ যেবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারতীয় দল, সেটা সুখকর ছিল না। হারতে হয়েছিল ওয়ানডে সিরিজে। ২০১৫ সালের সেই দলে ছিলেন রোহিত শর্মাও। সেই সফরের কথা মাথায় রাখছেন রোহিত।

তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোমাঞ্চকর। গত সাত-আট বছরের বাংলাদেশ দল আলাদা। তারা খুবই চ্যালেঞ্জিং, আমরা সহজে জিতিনি। তাদের বিপক্ষে জিততে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’

২০১৫ সালের স্মৃতিচারণা করে রোহিত বলেন, ‘তাদের সঙ্গে প্রতিবারই আমাদের ম্যাচ খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটিও তা–ই ছিল। ২০১৫ সালে তো সিরিজ হেরেছিলাম মনে হয়। আমরা জানি, গত কয়েক বছরে তারা অনেক উন্নতি করেছে। ফলে জিততে গেলে আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। আমাদের জন্য সহজ হবে না।’

যদিও, সেই ২০১৫ সালের দলের অনেকেই এবার নেই। তখনকার তুলনায় এই দলটা অনেক তরুণ। রোহিত বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছে। তবে এতে কিছু বদলে যাচ্ছে না। আমরা এমন বড় দর্শক সমাগমের সামনে খেলে অভ্যস্ত। বিশেষ করে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গেলে, সেখানের দর্শক উপস্থিতিও ভয় জাগানোর মতো হয়। তারা নিজ দলের জয় নিশ্চিত করতে চায়, দলের পাশে থাকে।’

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link