‘জুয়া’টা রোহিতের মত ভাল আর কেউ খেলতে জানেন না

১৭ বছর পর আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত। ২০০৭ সালে দলের সেই নবীন সদস্যটা ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এসে অবশেষে একটা আইসিসি ইভেন্টের শিরোপা হাতে নেওয়ার সুযোগ পেল। মহেন্দ্র সিং ধোনির পর এবার রোহিত শর্মা।

আর এই বিশ্বকাপ জয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির অবদানও কম নয়। ঠিক ধোনির হাজার বছর ধরে বাতলে দেওয়া রেসিপি মেনেই বিশ্বকাপটা জিতেছেন রোহিত শর্মা। ভাগ্য ভাল, ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে রোহিতের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো কাজে এসেছে। ক্রিকেট বিধাতাও এদিন সাহসী অধিনায়কের পক্ষই নিয়েছ।

২৪ বলে ২৬ রান দরকার, হাতে ৬ উইকেট। ব্যাটিং উইকেট, হেনরিক ক্লাসেন এক ওভার আগেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি থেকে ১০ ম্যাচে নয় ম্যাচেই ব্যাটিং দল জয়লাভ করবে। যে এক ম্যাচে ফিল্ডিং দল জয় লাভ করবে, সেখানে অধিনায়ককে আউট অব দ্যা বক্স ডিসিশন নিতে হবে, জুয়া খেলতে হবে।

রোহিত সেটাই করেছেন। বুমরাহর ওভার শেষে, ১৭তম ওভারে রোহিতের জন্য ‘সেফ অপশন’ ছিল আর্শদ্বীপের হাতে বল তুলে দেয়া। ১৮ তম ওভার হার্দিককে দিয়ে, ১৯ তম ওভারে বুমরাহ ফিরবেন। এমনকি ১৮তম ওভারেও বুমরাহ ফিরতে পারতেন কিছু একটা ঘটানোর জন্য।

রোহিত জুয়া খেললেন। হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে বল তুলে দিলেন। এই ওভারে ভারতের জন্য খেলা শেষ হয়েও যেতে পারতো ক্লাসেনের আরেক ঝড়ে। হার্দিক প্রথম বলেই ক্লাসেনকে ফেরালেন। ম্যাচ ঘুরে গেলো ভারতের দিকে। এরপর কেবল প্রেসার বাড়ানোর পালা। বুমরাহ-আর্শদ্বীপরা পরের দুই ওভারে সেটা ভালোভাবেই করেছেন। অন্তত ততটা ভাল করেছেন, যতটা করলে বিশ্বকাপ জেতা যায়।

ম্যাচ শেষে মাটিতে মুখ লুকিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে পড়লেন রোহিত শর্মা। যেন এত কালের ট্রফিহীনতার আক্ষেপ মিশিয়ে দিতে চাইলেন মাটির সাথে। আক্ষেপ মাটিতে মিশে গেলেও রোহিতের সৌজন্যে ক্রিকেটের বুকে ভারতের মাথা উঁচু হল আরেকবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link