দায়িত্ব নেন ২০২১ সালে। অধিনায়ক হিসেবে পারফর্মও করেন। ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। ২০২৪ সালে এনে দেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা। সব কিছুরই কাণ্ডারি রোহিত শর্মা।
তবে, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে রোহিত যেন বড্ড নড়বড়ে। বিশেষ করে ধারাবাহিকতার বেশ অভাব। সম্প্রতিই অবসর নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে। কিন্তু ফিটনেস এবং ধারাবাহিকতা খুব বেশি দরকার এখন পাঁচ দিনের ক্রিকেটে।
সেখানে সর্বশেষ পাঁচ টেস্টের ১০ ইনিংসে তার রানসংখ্যা যথাক্রমে – ৬, ৫, ২৩, ৮, ২, ৫২, ০, ৮, ১৮, ১১। ১৩.৩০ গড়ে রান করেছেন মোটে ১৩৩, দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি ছয় বার। ফিফটি মাত্র একটি।
আউট হবার ধরণ গুলোও বেশ দৃষ্টিকটু। পাঁচ বার বোল্ড, পাঁচ বার ক্যাচ আউট। এর মধ্যে ফিঙ্গার স্পিনাররা নিয়েছেন চার বার। পেস বোলারদের বিপক্ষে ফিরেছেন ছয় বার।
একটু গতির সাথে হালকা সুইং অথবা অফ সাইডে বলটা হালকা ভিতরে টার্ন, এটাই যেন রোহিতকে প্যাকেট করার সবচেয়ে সহজ মূলমন্ত্র। ৬৪ টেস্টের ১১১ ইনিংসে ৪২.২৯ গড়ে যার রান ৪২৭১ রান, এমন অভিজ্ঞ একজন থেকে এমন পারফরম্যান্স বেশ বার্ডেনই বলা চলে।
ফিটনেসটাও বড় ইস্যু এখানে, টেস্ট খেলার মত ফিটনেস হয়ত আসলেই রোহিতের আর নেই। আর তার শট সিলেকশন ও বেশ ভয়াবহ রকমভাবে খারাপ দিকে আগাচ্ছে। রোহিত শর্মার টেস্ট ব্যাটিং যেন সমুদ্রের ঢেউ কখনো জোয়ার, আবার কখনো আবার ভাটা।
যদিও তিনি মাঠে হৃদয়ে রক্তের স্রোত নিয়ে খেলতে নামেন, তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে দুর্গতি বাঁচাতে রক্ষা কবজ হয়ে উঠতে পারছেন না। বর্তমানে তার ফর্ম পাহাড়ে চড়ার মতো, যেখানে চ্যালেঞ্জগুলোকে অতিক্রম করতে তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তার শট সিলেকশন তাপসের আগুন হয়ে উঠছে, যা তাকে কঠিন পরিস্থিতিতে বারবার ব্যর্থতার সম্মুখীন করছে।
এমন অবস্থায়, রোহিতকে দ্রুত ফিরে আসতে হলে নিজের ব্যাটিং কৌশলকে নতুনভাবে রূপ দিতে হবে। এভাবে আসলে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে ইন্ডিয়া দলের শক্তি ভারী করতে গিয়ে দলের ভার হয়ে যাচ্ছে না তো?