সেমিফাইনালে পিচ বিতর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতে সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে ভারতের বিপক্ষে উঠেছিল পিচ বদলের অভিযোগ। এমন বিতর্কের মুখে পড়ে আইসিসিকে শেষ পর্যন্ত একটি বিবৃতিও দিতে হয়েছিল।
জানা গিয়েছিল, আইসিসির টুর্নামেন্টের শেষ দিকে পিচে বদল স্বাভাবিক ব্যাপার। এর আগেও সেটা হয়েছে। আয়োজক দেশ চাইলেই পিচ প্রস্তুতকারকের পরামর্শে উইকেট বদলাতে পারে। অবশ্য আইসিসির এমন ব্যাখ্যার পরও অনেকের মন গলেনি।
আর পিচ নিয়ে এমন বিতর্কের রেশ না কাটতেই এবার ফাইনালের পিচ পরখ করতে দেখা গিয়েছে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে তাঁরা উঠেছে ফাইনালের মঞ্চে। আগামী ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
ফাইনালের আগে যে কোনো দলেরই পিচ পর্যবেক্ষণ করা অবশ্য স্বাভাবিক বটে। তবে বিতর্ক উষ্কে দিচ্ছে অন্য একটি সম্ভাব্যতায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন তাদের প্রতিবেদনে, সেমিতে পিচ বদলের অভিযোগের পাশাপাশি ফাইনালেও যে একই কাজ করা হবে, সেটিও জানিয়েছিল।
শুধু তাই নয়, ব্রিটেনের খ্যাতিমান ক্রীড়া সংবাদকর্মী, লেখক ও উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের সম্পাদক লরেন্স বুথও ফাইনালে পিচ বদলের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। ফাইনালের দু’দিন আগে তাই রোহিতের এমন পিচ পরখ করাকে অনেকেই সাধারণ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছেন না।
তাছাড়া, পিচ পরখ করা ছাড়াও এ দিন কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে পিচ প্রস্তুতকারকদের দিক নির্দেশনাও দিতে দেখা গিয়েছে রোহিত শর্মাকে। যদিও আইসিসির দাবি অনুযায়ী, পিচ বদল কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটিকে অহেতুক অতিরঞ্জিত খবর হিসেবে পরিবেশন করা হচ্ছে।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত লিগ পর্বে অনুষ্ঠিত চার ম্যাচের তিনটিতে ভিন্ন ভিন্ন উইকেটে খেলা হয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ফাইনালও গড়াতে পারে ভিন্ন এক উইকেটে। তবে সেমিফাইনালেও ভিন্ন উইকেটে খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। পুরনো উইকেটেই ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ গড়িয়েছিল। তাই সেমির মতো ফাইনালেও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে কিনা, সেটি একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।