নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই কোমরের ব্যথায় ভুগছেন রুবেল হোসেন। চোট পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিক্যাল টিমের অধীনে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ভিতর রয়েছেন এই পেসার। আর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলমান থাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে খেলা প্রায় অনিশ্চিত রুবেল হোসেনের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে আগামী ২৩ মে থেকে। হাতে এক সপ্তাহ সময় থাকায় তাই রুবেলকে নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কোন সিদ্বান্ত নেওয়া হয়নি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাদের থেকে সর্বশেষ অবস্থা জেনে রুবেলকে নিয়ে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিবেন নির্বাচকরা।
তিনি বলেন, ‘দেখেন ওর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে, বিবেচনার বিষয়টি শেষ মুহূর্তে নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নিবে। আমাদের কাছে যখন আপডেট জানতে চাইবে যে ওর আজকের অবস্থা কি আমরা সেটা জানাবো। এখনই তো বলার প্রয়োজন নেই যে সেই দলের বাইরে চলে গেছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। দল নির্বাচনের আগে যখন আমাদের জিজ্ঞেস করবে সেদিন আমরা আপডেট জানাবো। এটা তত দিনে আরো একটু ভালো হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা ওর নিজেকে কল দিতে হবে, ম্যাচ ফিটনেসের ব্যাপারটা ওর নিজের বুঝতে হবে। আমরা পরীক্ষা করে আসলে এই মুহূর্তে কোনো ব্যথা পাচ্ছিনা। তার মানে এই না যে ওর কনফিডেন্স কিংবা ভেতরের অনুভূতিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এগুলো সব মিলিয়ে আমরা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে নিচ্ছি। শেষ মুহূর্তে আমাদের নির্বাচকরা জিজ্ঞেস করলে আপডেট দেব।’
বিসিবির এই চিকিৎসক জানিয়েছেন এই মূহুর্তে রুবেলের কোন ব্যথা নেই। এই পেসারের চোটটা স্বাভাবিক। দীর্ঘ দিন বল করার কারণে এই ধরণের চোটে যে কোন পেসারই পড়তে পারেন। তিনি মনে করেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকলেই এই সমস্যর সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘রুবেল যেহেতু এক যুগের বেশি সময় ধরে এলিট লেভেলে বল করছেন সেহেতু এ ধরণের বোলারদের ব্যাকে কিছু ইস্যু হয়ে থাকে। রুবেলও তার ব্যতিক্রম না। কয়েক দফা স্ক্যান করানো হয়েছে, স্ক্যানে তার লো ব্যাকে কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছে। যা দীর্ঘ মেয়াদী বোলিংয়ের রিঅ্যাকশন হিসেবেই আমরা সাধারনত পেয়ে থাকি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রয়োজন রুবেলের জন্য। এই সমস্যাটা মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দিবে, রুবেলকে একটা খুব ভালো পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকতে হবে। আর সে সেটিই করছে।’
দেবাশীষ আরো জানান যে ক্যারিয়ারের বাকিটা সময় ইনজুরিটা ভোগাবে রুবেলকে। তিনি বলেন, ‘এটা যতদিন ও খেলবে তত দিনই চলবে। আপনি দেখবেন যে কোনো বড় বোলার নামকরা বোলার যারাই কিন্তু ১২-১৫ খেলেছে তারাই সফল। ১২-১৫ বছর কিন্তু খেলাটা সহজ না পেসারদের জন্য। শুধু রুবেল না আমাদের অন্য অনেক পেসারই এরকম সমস্যায় ভুগছে। দেখা যায় ক্যারিয়ার লম্বা হয় না কিংবা মাঝে মাঝে খেলে। নিউজিল্যান্ডে থাকা অবস্থাতেই ওর কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল এবং এই মুহূর্তে ওর কিন্তু ক্লিনিকালি কোনো ব্যথা নেই।’